Sikkim News: ৪ দিন পর পলিমাটি খুঁড়ে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার সেনা জওয়ান
Sikkim disaster: গত মঙ্গলবার গভীর রাতে লোনক হ্রদের হিমবাহ বিস্ফোরণ ও বুধবার ভোররাতে তিস্তা নদীর গ্রাসে প্রায় তলিয়ে যায় উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর জল প্রায় ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। ফলে দোতলা বাড়ি থেকে গাড়ি, বাজার-দোকান- সবই জলের তলায় চলে যায়।
গ্যাংটক: সিয়াচেনে ৬ দিন বরফের নীচে চাপা পড়ে থাকার পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিলেন ল্যান্স নায়েক হনুমানথাপ্পা। ২০১৫ সালের সেই ঘটনা আজও চর্চার বিষয়। কীভাবে চারদিন বরফের নীচে চাপা থেকেও বেঁচে ছিলেন, তা নিয়ে সংশয়ে চিকিৎসকেরাও। এটা মিরাকেল বলেই মনে করেন সকলে। যদিও পরে হাসপাতালে হনুমানথাপ্পার মৃত্যু হয়। কিন্তু, এবার প্রায় সেরকমই এক মিরাকেলের সাক্ষী হল উত্তর সিকিম (North Sikkim)। পলিমাটির নীচে চারদিন চাপা থাকার পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হলেন এক সেনাকর্মী (Jawan)। শনিবার লিনথেমতার এলাকা থেকেই ওই সেনাকর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে লোনক হ্রদের হিমবাহ বিস্ফোরণ ও বুধবার ভোররাতে তিস্তা নদীর গ্রাসে প্রায় তলিয়ে যায় উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর জল প্রায় ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল। ফলে দোতলা বাড়ি থেকে গাড়ি, বাজার-দোকান- সবই জলের তলায় চলে যায়। তারপর জল সরলেও পলিমাটিতে চাপা পড়ে যায় সবকিছু। এরপর ধীরে-ধীরে পলিমাটি সরিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হতেই মৃতের সংখ্যা যেমন বাড়তে শুরু করে, তেমনই একের পর এক অবাক করা ঘটনার সাক্ষী হয় উত্তর সিকিম ও উদ্ধারকারী দল। দিন দুয়েক আগেই পলিমাটির নীচে থেকে উদ্ধার হয়েছিল গাড়ি। এবার পলিমাটির নীচে থেকে উদ্ধার হলেন এক সেনাকর্মী। একেবারে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন ওই সেনাকর্মী। যা মিরাকেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, শনিবার রাতেই মলি-রংপো ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খুলে দিয়েছে সিকিম সরকার। তবে পর্যটকদের সিকিম যাওয়ায় অনুমতি মেলেনি। গ্যাংটক, লাচেন, লাচুং-সহ সিকিমের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া পর্যটকদের নীচে নামিয়ে আনার জন্যই এই পথটি খুলে দেওয়া হয়েছে বলে সিকিম প্রশাসন জানিয়েছে।