IAF Flight bomb: অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণের পর, নতুন বোমার সফল পরীক্ষা ডিআরডিওর

Indian Air Force, Agni missile, ২০০৮ সালে, ৫০ হাজার কেজি ওজন ও ১৭.৫ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট অগ্নি নামের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করে ডিআরডিও। অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রটি এর আগে অগ্নি ৩ নামে পরিচিত ছিল।

IAF Flight bomb: অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণের পর, নতুন বোমার সফল পরীক্ষা ডিআরডিওর
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2021 | 8:46 PM

নয়া দিল্লি: বুধবার, ওড়িশার (Odisha) এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ (APJ Abdul Kalam island) থেকে অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র (Agni 5 missile) সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছিলেন দেশের বিজ্ঞানীরা। এক দিন যেতে না যেতেই ভারতের সাফল্যের মুকুটে নয়া পালক। শুক্রবার, ভারতীয় বায়ু সেনা (Indian Air Force) ও ডিআরডিওর (DRDO) যৌথ দল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দীর্ঘ রেঞ্জের নয়া বোমা সফলভাবে পরীক্ষা করল। বলা বাহুল্য এই নতুন পরীক্ষায় সফলতা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতকে আরও শক্তিশালী করবে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (Defence Research and development Organization) ও বায়ু সেনার নয়া পরীক্ষা সফল হওয়ার কারণে এক নতুন দিক খুলে গেল বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

২০০৮ সালে, ৫০ হাজার কেজি ওজন ও ১৭.৫ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট অগ্নি নামের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করে ডিআরডিও। অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রটি এর আগে অগ্নি ৩ নামে পরিচিত ছিল। ২০১০ সালে প্রযুক্তিগত কিছু উন্নতি ঘটিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নয়া নামকরণ করা হয়েছিল। ২০১২ সালে ১৯ এপ্রিল অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল। ভূমি থেকে ৬০০ মিটার উচ্চতা বজায় রেখে ৫ হাজার কিলো মিটারে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছিল অগ্নি ৫। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বারের জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে শেষবারের জন্য এই ঘাতক ক্ষেপণাস্ত্র শেষবার পরীক্ষা করা হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে।

ভারতের পায়ে পায়ে শত্রু। দেশের সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তান (Pakistan) ও চিন (China) ক্রমাগতই ভারতের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। কাশ্মীর উপত্যকা উত্তপ্ত। লাগাতার জঙ্গি আক্রমণে কাশ্মীরে (Kashmir) সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একের পর এক জঙ্গি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ। গোয়েন্দাদের মতে উপত্যকায় এই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI) ও পাকিস্তানের সেনা বাহিনী এই জঙ্গিদের নানাভাবে সাহায্য করে, অন্যদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রন রেখায় ক্রমাগত আগ্রাসন বাড়াচ্ছে লাল ফৌজ। সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ঘোড়ায় চেপে প্রবেশ করে ১০০ জন চিনা সেনার একটি দল. সেখানে তিন ঘণ্টা থেকে ভারতীয় সেনা (Indian Army) ও আইটিবিপি (ITBP) জওয়ানদের আসার আগেই সেখান থেকে তারা চলে যায়। এই রকম সমস্যার মধ্যে অগ্নি ৫ ও দূরপাল্লার এই বোমার সফল পরীক্ষা শত্রুদের মনে কিছুটা ভয় ধরাতে বাধ্য বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন গোয়াতেও শুরু হল ‘খেলা’, তৃণমূলে যোগ দিলেন লিয়েন্ডার পেজ

আরও পড়ুন Kashmir: শহীদ সেনা জওয়ানদের নামে স্কুল, রাস্তাঘাটের নামকরণ! দেশাত্মবোধের বিকাশে পদক্ষেপের পথে “নয়া কাশ্মীর”