Flash Flood in Odisha: দানার পর হড়পা বান! ভাসছে বালাসোর-ভদ্রকের একের পর এক গ্রাম

Cyclone Dana Update: সিমলিপালের পাহাড়েও ভারী বৃষ্টির জেরে ময়ূরভঞ্জ জেলায় একাধিক নদীতে জলস্তর বেড়েছে। সোনো ও কংশবংশ নদীতে জল বাড়ায় বালাসোরের সোরো, খইরা, সিমুলিয়া, ঔপাড়র মতো একাধিক জায়গা জলে ডুবেছে।

Flash Flood in Odisha: দানার পর হড়পা বান! ভাসছে বালাসোর-ভদ্রকের একের পর এক গ্রাম
জলে ভাসছে ওড়িশার মন্দির।Image Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Oct 27, 2024 | 8:36 AM

ভুবনেশ্বর: ঘূর্ণিঝড় দানা আটকাতে সফল হলেও, বিপদ এড়ানো গেল না সম্পূর্ণ। হড়পা বান ওড়িশায়। মূলত বালাসোর ও ভদ্রকে হড়পা বান নেমেছে বলেই জানা গিয়েছে। জলমগ্ন গ্রামের পর গ্রাম। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হলেও, এখনও প্রাণহানির কোনও খবর মেলেনি।

বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে ওড়িশার ভিতরকণিকার কাছে ল্যান্ডফল হয় ঘূর্ণিঝড় দানার। ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ঙ্কর রূপের শঙ্কা থাকলেও, মানগ্রোভ অরণ্যের কারণে স্থলভাগে ঝড়ের দাপট অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তবে লাগাতার বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে, উপড়ে গিয়েছে গাছ।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তর ওড়িশার উপরে এখনও নিম্নচাপ রয়েছে, তবে তা আজ আরও দুর্বল হয়ে যাবে। বৃষ্টিও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম হবে।

ঘূর্ণিঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বিপদ নেমেছে বালাসোর-ভদ্রকে। একটানা বৃষ্টির জেরে সেখানে হড়পা বান নেমেছে। একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। উদ্ধারকাজ শুরু করেছে ওড়িশা দমকল বাহিনী। বালাসোর জেলা প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের বুধবালাং নদীর কাছে যেতে বারণ করা হয়েছে। নদীর জলস্তর বাড়ায় গ্রামবাসীদের ত্রাণ শিবিরের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

সিমলিপালের পাহাড়েও ভারী বৃষ্টির জেরে ময়ূরভঞ্জ জেলায় একাধিক নদীতে জলস্তর বেড়েছে। সোনো ও কংশবংশ নদীতে জল বাড়ায় বালাসোরের সোরো, খইরা, সিমুলিয়া, ঔপাড়র মতো একাধিক জায়গা জলে ডুবেছে। তবে প্রশাসনের তরফে জোরকদমে উদ্ধারকাজ চলছে।

রাজ্য রাজস্ব ও বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সূরেশ পুজারি জানিয়েছেন, সরকার বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও পরিষেবা চালু করার উপরেই সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছে। বৃষ্টি থামলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হবে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছিল। ৯০ শতাংশ জায়গাতেই বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৪টি জেলায় কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শীঘ্রই কেন্দ্রীয় দলও ক্ষয়ক্ষতির পর্যবেক্ষণে আসবে।