AAP Expansion : লক্ষ্য কেন্দ্রের গদি! পঞ্জাবে বিপুল জয়ের পর ক্ষমতা বিস্তারে মরিয়া আপ, এবার ফোকাসে কোন রাজ্য
AAP Expansion : পঞ্জাবের ফলাফলের পর বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে ওঠার চেষ্টায় অরবিন্দ কেজরীবাল। সেই লক্ষ্যেই দিল্লির বাইরে পঞ্জাবের পর এবার অন্যান্য রাজ্যে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে চলেছে আপ।
নয়া দিল্লি : পঞ্জাবে কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি। পঞ্জাবে জয়ের পরই আত্মবিশ্বাসী আপ। পঞ্জাবের ফলাফলের পর বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে ওঠার চেষ্টায় অরবিন্দ কেজরীবাল। সেই লক্ষ্যেই দিল্লির বাইরে পঞ্জাবের পর এবার অন্যান্য রাজ্যে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে চলেছে আপ। সোমবার অরবিন্দ কেজরীবাল নেতৃত্বাধীন আপ হরিয়ানার ১৫ জন প্রাক্তন বিধায়ক, মন্ত্রী এবং সমাজকর্মীকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে। রাজধানীতে এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন। দলের তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে যে হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ৬৮ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে আপ।
যোগদান অনুষ্ঠানের পর তিনি বলেছেন, “হরিয়ানার ১৫ জন প্রাক্তন বিধায়ক, মন্ত্রী এবং সমাজকর্মী আজ দিল্লিতে আম আদমি পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। আমরা এই বছরের শেষের দিকে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে লড়ব। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা হরিয়ানায় সরকার গঠন করব।” পঞ্জাবে আপের সরকার গঠনের ঠিক দুইদিন আগেই আম আদমি পার্টিতে এই যোগদান হল। দুইদিন পর স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগত সিংয়ের গ্রাম খাটকার কালানে শপথ নেবেন পঞ্জাবের নয়া নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
আপ মন্ত্রীর বক্তব্য়ে স্পষ্ট যে হিমাচল প্রদেশে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে ইতিমধ্যেই কোমর বেধেছে আপ। হিমাচলে এই বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়ার কথা। সেখানে ৬৮ টি আসনে আপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। শনিবার জৈন বলেছেন, “হিমাচল প্রদেশ পঞ্জাব সংলগ্ন এবং আমরা পার্বত্য রাজ্যে নিজেদের পূর্ণ শক্তি দেব। আপ সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও মতামত চাইছে। হিমাচলের জনসাধারণ স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সমালোচনামূলক। শিক্ষা ক্ষেত্রেও তেমন কিছু করা হয়নি।” তিনি আরও বলেছেন, “কংগ্রেস এবং বিজেপি- উভয় দলের বিশেষ অধিকারপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে অতিষ্ঠ।”
হিমাচলের পাশাপাশি আপের কেজরীবালের নিজের রাজ্য হরিয়ানায় নিজেদের সংগঠন দৃঢ় করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৪ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে হরিয়ানায়। কেজরীবালের নেতৃত্বাধীন দলটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নিজের রাজ্য গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেছে ইতিমধ্যেই। ১৯৯৫ সাল থেকে পশ্চিমের এই রাজ্যটি বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ১৩ বছর ধরে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। উল্লেখ্য, আপ বাংলাতেও নিজের সংগঠন ঢেলে সাজানো শুরু করেছে। গতকালই পশ্চিমবঙ্গেও দল ভারী করার জন্য এগিয়ে ছিলেন আপ সদস্য গ্রহণ করার জন্য প্রচার চালিয়েছে।
আরও পড়ুন : Fake Photos and Videos : কীভাবে বুঝবেন কোনও ছবি আসল নাকি নকল?