Andhra Pradesh Flood: জলের তলায় গ্রাম, রাস্তা, রেলপথ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১

Andhra Pradesh Flood: রাজ্যের একাধিক জায়গায় বন্যার জলে বহু মানুষের আটকে পড়ার খবর মিলছে। এরইমধ্যে তিরুপতিতে জলাধারে ফাটল ধরার খবর মিলেছে। এর জেরে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

Andhra Pradesh Flood: জলের তলায় গ্রাম, রাস্তা, রেলপথ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১
আটকে রয়েছেন বহু মানুষ, ভেসে গিয়েছে আস্ত বাস (ছবি- পিটিআই)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2021 | 6:43 AM

হায়দরাবাদ : ক্রমশ খারাপ হচ্ছে অন্ধ্র প্রদেশের (Andhra Pradesh) বন্যা (Flood) পরিস্থিতি। হু হু করে বাড়ছে জল। একাধিক রাস্তা ডুবে যাওয়ায় রাজ্যের অনেক জায়গায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। রাজ্য জুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১। শুধুমাত্র রবিবারেই মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এ ছাড়া ট্রেন ও বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে এখনও। মূলত রায়ালাসীমা ও নেলোর জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলের তলায়।

অন্ধ্র প্রদেশের রাজামপেট এলাকা থেকে ৬টি দেহ ও চিন্নামান্ডেম এলাকা দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নেলোর জেলায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৪ জনের। নেলোরের জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে অন্তত ১৫ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিশেষত নীচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জন্য উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। পাপাগনি নদীর ওপর একটি সেতু ভেঙে পড়েছে।

কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তিরুপতি। রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কাডাপা- তিরুপতি, নেলোর- তিরুপতি ও বেঙ্গালুরু- তিরুপতি হাইওয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিরুপতি যাওয়ার জন্য তিরুমালা এক্সপ্রেসে রওনা হয়েছিলেন ২০০০ যাত্রী, তাঁদের কাডাপাতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের তিরুপতি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিরুমালা পাহাড়ের উপর অবস্থিত তিরুমালা মন্দিরের সঙ্গে সংযোগকারী চারটি প্রধান রাস্তাই সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঘাট রোড ও তিরুমালা পাহাড় লাগোয়া ছোট রাস্তাগুলিও। তিরুমালার জাপালি আঞ্জনেয়া স্বামীর মন্দিরেও জল ঢুকে যাওয়ার খবর মিলেছে। ঈশ্বরের মূর্তিও জলের তলায় চলে গিয়েছে।  আটকে পড়ায় পুণ্যার্থীদের জন্য তিরুমালা তিরুপতি দেবাস্থানম কমিটির তরফে বিনামূল্যে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের দেখভালের নির্দেশ দিয়েছেন।

ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে হাত লাগানোর জন্য রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পাশাপাশি নামানো হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও। বায়ুসেনাও আকাশপথে উদ্ধারকাজ চালাতে সাহায্য করছে। গতকালই অনন্তপুর থেকে একটি জেসিবি মেশিনের উপর আশ্রয় নেওয়া ১০ জনকে হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়। কাডাপা জেলাতেও বাসের উপর উঠে বহু যাত্রী বাঁচার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ অবধি বন্যার জলে বাসগুলি ভেসে যাওয়ায়, তাদের উদ্ধার করা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।

এরইমধ্যে তিরুপতিতে জলাধারের দেওয়ালে ফাটল ধরার খবর মিলল। এর জেরে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টির জেরে একাধিক হাইওয়ে ও সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে একাধিক গ্রামের সঙ্গে। প্রশাসনের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “যেকোনও মুহূর্তে বাধ ভেঙে পড়তে পারে। সাধারণ মানুষদের অতি সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : করোনাকালে ৪ কোটি প্রবীণ নাগরিকের কাছ থেকে পুরো ভাড়া উসুল করল রেল