Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

উপচে পড়া ভিড় শপিং মল-পাতালরেলে, ‘করোনা বিস্ফোরণে’র আশঙ্কায় দিল্লির বিশেষজ্ঞরা

আনলকের শুরুতেই এই ভিড় নিয়ে এক বিশেষজ্ঞ টুইটে লেখেন, "আরও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে আনলক শুরু করা প্রয়োজন ছিল। আমরা নিজেরাই বিপদ ডেকে আনছি"।

উপচে পড়া ভিড় শপিং মল-পাতালরেলে, 'করোনা বিস্ফোরণে'র আশঙ্কায় দিল্লির বিশেষজ্ঞরা
উপচে পড়া ভিড় রাস্তাঘাটে। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2021 | 7:43 AM

নয়া দিল্লি: অথৈ জলে হাজারো সতর্কবাণী, আনলক পর্ব শুরু হতেই রাজধানীতে দেখা গেল উপচে পড়া ভিড়। মেট্রো থেকে শপিং মল- সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না কোথাও। এতেই অশনী সংকেত দেখছেন চিকিৎসকরা। তাদের আশঙ্কা, সাধারণ মানুষের অসচেতনতার কারণেই ফের করোনা সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

গত মার্চ মাসে দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি না থাকলেও সময় গড়াতেই হু হু করে বাড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে পৌঁছে যায় ২৫ হাজারে। প্রবল অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দেওয়ায় কার্যত ভেঙে পড়ে রাজধানীর স্বাস্থ্যব্যবস্থা। এরপরই বাধ্য হয়ে লকডাউনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।

প্রায় একমাস লকডাউন থাকার পর সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কম হওয়ায় ধাপে ধাপে আনলক পর্বের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সোমবার থেকে তৃতীয় ধাপের আনলক শুরু হতেই ফের একবার সাধারণ মানুষের অসচেতনতার চিত্র ফুটে উঠল।

এ দিকে, সাধারণ মানুষের এই অসচেতনায় কার্যত অবাক ও ক্ষুব্ধ দিল্লির চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। দিল্লির ম্যাক্স হেলথকেয়ারের প্রধান অম্বরীশ মিথাল টুইট করে লেখেন, “আনলক পর্ব শুরু হতেই গত সপ্তাহে দিল্লির মলে ১৯ হাজার মানুষ গিয়েছেন। আপনারা কি পাগল হয়ে গিয়েছেন? ফের করোনা বিস্ফোরণের অপেক্ষা করুন এবং তারপর সরকার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও দেশকে এই পরিস্থিতির জন্য দোষারোপ করুন।”

পাঁচ সপ্তাহ লকডাউনের পর ৫০ শতাংশ জনসংখ্যা নিয়ে শপিং মল, পাতালরেল চালু করার ঘোষণা করা হয় দিল্লিতে। যাত্রীরা লম্বা লাইন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই টুইটারে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সংখ্যা তুলে ধরা হয়। অন্যদিকে, টিকা ঘাটতি দেখা দেওয়ায় ফের একবার গতিহীন হয়ে পড়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। মঙ্গলবারই ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের একাধিক টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায় টিকা ঘাটতিতে।

আনলকের শুরুতেই এই ভিড় নিয়ে এক বিশেষজ্ঞ টুইটে লেখেন, “আরও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে আনলক শুরু করা প্রয়োজন ছিল। আমরা নিজেরাই বিপদ ডেকে আনছি”।

আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ড: ৪ মাস পর প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজ, ২ অভিযুক্তের খোঁজে ১০ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা এনআইএ-র