Naveen Patnaik-Mamata Banerjee Meeting: মুখোমুখি মমতা-নবীন, বৈঠকে ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়’ জোর দুই মুখ্যমন্ত্রীর

Mamata Banerjee-Naveen Patnaik Meeting: ভুবনেশ্বরে আজ বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবীন পট্টনায়েক। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতেই জোর দেওয়া হয়।

Naveen Patnaik-Mamata Banerjee Meeting: মুখোমুখি মমতা-নবীন, বৈঠকে 'যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়' জোর দুই মুখ্যমন্ত্রীর
ছবি সৌজন্যে: ফেসবুক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2023 | 1:03 PM

ওড়িশা: বিরোধী ঐক্য গড়তে তৎপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই ঐক্যে শান দিতেই মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ওড়িশা উড়ে গিয়েছেন মমতা। হাতে তিনদিন নিয়েই গিয়েছিলেন। হাতে ছিল ঠাসা কর্মসূচি। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল মমতা-নবীন বৈঠক। আজ ভুবনেশ্বরে সেই বৈঠকই হয়ে গেল দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে। এই বৈঠক থেকে কোনও নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ উঠে আসে কি না, সেদিকেই নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই। এ দিন বৈঠকের পরই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন নবীন-মমতা। তবে তাঁদের মধ্যে জাতীয় রাজনীতি নিয়ে সেইভাবে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই জানিয়ে দেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। আর নবীন পট্টনায়েককে ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, ঠাসা কর্মসূচি নিয়েই ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মমতা। এর মধ্যে গতকাল তিনি পুরীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে গেস্ট হাউসের জন্য জমি পরিদর্শন করেন। সেই জমি তাঁর পছন্দ হয়েছে বলেও ওড়িয়া ভাষায় জানান মমত। তারপর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে জগন্নাথ দর্শনের পাশাপাশি পুজো দেন। মন্দিরেই এক ঘণ্টা কাটান তিনি। আর ভগবান জগন্নাথের একটি মূর্তি এবং ছবি হাতে ফিরে আসেন। গতকাল জগন্নাথ দর্শনের পর আজ ছিল মমতা-নবীন বৈঠক। যার দিকে নজর ছিল রাজনীতিকদের। তবে এটিকে বৈঠক বলতে নারাজ নবীন পট্টবনায়ক। তিনি বলেন, তাঁদের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মমতা জি এখানে এসেছেন, তাতে আমি খুশি হয়েছি। এখানে কিছুদিন কাটিয়েছেন। আপনারা সবাই জানেন, আমাদের প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে আমাদের খুব ভাল সম্পর্ক। ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অটুট থাকা দরকার। জাতীয় স্তরে রাজনীতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি এই বৈঠকে। ঘরোয়া আলোচনা হয়েছে।”

তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নবীন জির কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি একজন বড় নেতা। আমি যখন প্রথমবারের জন্য সাংসদ হলাম তখন বিজু জি আমাকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন। আমি তখনি এই বাড়িতে প্রথম এসেছিলাম। এইটুকুই এখন মনে আছে আমার। এই নিয়ে দুই তিনবার এখানে এসেছি। এর আগে পূর্বাঞ্চলীয় কমিটির মিটিংয়ের জন্য অমিত শাহ এসেছিলেন তখনও নবীন জি আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “আমি তাঁকে বলেছি আমি দীঘাতে একটা জগন্নাথ মন্দির তৈরি করছি। আমি তাঁকে বাংলায় আসার নিমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা প্রতিবেশী রাজ্য। সত্যিই ওড়িশায় কোনও সাইক্লোন এলে তা বাংলাতেও আসবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে খুব ভাল সম্পর্ক।” এদিকে নবীন পট্টনায়কের কথায় সম্মতি জানিয়ে মমতা বলেছেন, “নবীন জি বললেন, আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো খুব শক্তিশালীএবং তা আরও জোরদার করা উচিত। আমি তাঁর বক্তব্যকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি। ”

বলাই বাহুল্য় যে রাজনৈতিক সমীকরণের আশায় সবাই এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সেই আশা ফিকে হয়ে গিয়েছে। এই বৈঠকের পর বিরোধী ঐক্য নিয়ে কোনও আভাস পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, এই এক সপ্তাহেই তিন অ-কংগ্রেসি ও বিজেপি দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল মমতার। এর মধ্যে সম্প্রতিই কালীঘাটে সপা প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক হয়ে গিয়েছে মমতার। আজ নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে হল বৈঠক বা সৌজন্য সাক্ষাৎ। আর আগামিকাল জেডি(এস) নেতা তথা কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। সেই বৈঠক থেকে বিরোধী রাজনীতি কোন মোড় নেয় তাই দেখার।