Bihar Train Late: নেশা নয়, তেষ্টা মেটাতে গিয়ে করণবীরের ‘কারণ সুধা’য় আটকে গেল ট্রেন, তারপর যা হল….

Bihar Drunk Loco Driver: রাজধানী এক্সপ্রেসকে আগে যেতে দেওয়ার জন্য  সমস্তিপুর থেকে সাহারসাগামী ওই ট্রেনটিকে হাসানপুর স্টেশনে কিছুক্ষণ দাঁড় করানো হয়েছিল। সেই সময়ই ট্রেন থেকে উধাও হয়ে যান অ্যাসিস্টেন্ট লোকো পাইলট।

Bihar Train Late: নেশা নয়, তেষ্টা মেটাতে গিয়ে করণবীরের 'কারণ সুধা'য় আটকে গেল ট্রেন, তারপর যা হল....
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 06, 2022 | 1:56 PM

পটনা: ট্রেন লেট (Train Late) হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। পাঁচ-ছয় মিনিট থেকে শুরু পাঁচ-ছয় ঘণ্টা অবধিও লেট হয় দূরপাল্লার বিভিন্ন ট্রেন। তবে সম্প্রতিই একটি ট্রেন এক ঘণ্টার বেশি লেট করায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। সরাসরি ট্রেন লেটের জন্য নয়, বরং লেট হওয়ার কারণেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ট্রেন চালকের কীর্তি শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছেন রেল আধিকারিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। বিহার(Bihar)-র সমস্তিপুর রেলওয়ে ডিভিশনের হাসানপুর স্টেশনে ঘণ্টা খানেক দাঁড়িয়েছিল প্যাসেঞ্জার ট্রেন (Passenger Train)। কারণ ট্রেনের সহকারি চালক মদ্যপান (Alcohol) করতে গিয়েছিলেন।

জানা গিয়েছে, রাজধানী এক্সপ্রেসকে আগে যেতে দেওয়ার জন্য  সমস্তিপুর থেকে সাহারসাগামী ওই ট্রেনটিকে হাসানপুর স্টেশনে কিছুক্ষণ দাঁড় করানো হয়েছিল গত মঙ্গলবার। সেই সময়ই ট্রেন থেকে উধাও হয়ে যান অ্যাসিস্টেন্ট লোকো পাইলট। সিগন্যাল দেওয়ার পরও স্টেশন থেকে কেন ট্রেন এগোচ্ছে না, তা জানতে এগিয়ে আসেন স্টেশন মাস্টার। যাত্রীরাও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ট্রেন লেট হওয়ায়।

প্রথমে মনে করা হয়েছিল, ট্রেনে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ হয়েছে, সেই কারণে ট্রেন এগোচ্ছে না। লোকো পাইলটের কাছ থেকে সমস্যা জানতে এসে স্টেশন মাস্টার দেখেন ইঞ্জিনের কেবিন থেকে উধাও চালক। শৌচাগারে রয়েছেন, এ কথা ভেবে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা হয়। তবে প্রায় আধ ঘণ্টা কেটে গেলেও সেই চালকের দেখা না মেলায়, রেলওয়ে পুলিশকে ডাকা হয় চালকের খোঁজে। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর সামনের বাজার থেকে ওই চালককে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না তিনি।

জানা গিয়েছে, ওই চালক এতটাই মত্ত ছিলেন যে সোজাভাবে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও ছিল না তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে জিআরপি করণবীর যাদব নামক ওই অ্যাসিস্টেন্ট লোকো চালককে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই চালকের হুঁশ ফিরলে তিনি জানান, স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই তাঁর ‘তেষ্টা’ পায়। গলা ভেজানোর জন্য তিনি মদ খেতে চলে গিয়েছিলেন।

দ্রুত ট্রেন চালানোর জন্য সাহারসার অ্যাসিস্টেন্ট লোকো পাইলটকে বার্তা পাঠান স্টেশন মাস্টার। ভাগ্যক্রমে তিনি ওই ট্রেনেই যাচ্ছিলেন বলে সেই যাত্রায় ট্রেনের যাত্রীরা সুরক্ষিতভাবে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন। ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্য়ানেজার অলোক আগরওয়াল গোটা বিষয়টিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।