India-Bangladesh: যাচ্ছে গরু, আসছে ইলিশ! বাংলাদেশ সীমান্তে ঘুম ছুটল BSF-এর

India-Bangladesh: চোরাই অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্ক রয়েছে ভারতের বিএসএফ এবং বাংলাদেশের ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ বা ‘বিজিবি’। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে এই দুই বাহিনী। তবে, শুধু মানুষের আনাগোনা নয়, তাদের প্রতিরোধ করতে হচ্ছে গরু ও ইলিশ মাছের চোরাচালানও।

India-Bangladesh: যাচ্ছে গরু, আসছে ইলিশ! বাংলাদেশ সীমান্তে ঘুম ছুটল BSF-এর
গরু বনাম ইলিশ, সতর্ক বিএসএফ ও বিজিবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Aug 22, 2024 | 6:06 PM

ঢাকা ও নয়া দিল্লি: অস্থিরতার কারণে এখন বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আসার চেষ্টা করছেন। মেডিক্যাল ভিসা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনও ভিসা দেওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশিদের। তাই অনেকেই নকল মেডিক্যাল ভিসা তৈরির চেষ্টা করছেন। গত কয়েকদিনে, এটা করতে গিয়েও ধরাও পড়েছেন অনেকে। তবে, একটা বড় অংশের মানুষ এই সকল নথিপত্রও তৈরি করছেন না। সরাসরি চোরাই পথে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছেন। এই পরিস্থিতিতে এই চোরাই অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্ক রয়েছে ভারতের বিএসএফ এবং বাংলাদেশের ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ বা ‘বিজিবি’। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে এই দুই বাহিনী। তবে, শুধু মানুষের আনাগোনা নয়, তাদের প্রতিরোধ করতে হচ্ছে গরু ও ইলিশ মাছের চোরাচালানও।

নিউজ১৮-এর এক প্রতিবেদনে, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের এক ঊর্ধ্বতন কর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে, এপার থেকে বাংলাদেশে গবাদি পশু পাচারের চেষ্টা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে সীমান্তর উপর কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিএসএফ-এর সকল সদস্যকে সীমান্তে চব্বিশ ঘণ্টা টহল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, একই সময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবৈধ চোরাচালানের চেষ্টা হচ্ছে ইলিশের মাছের। ইলিশ মাছ পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কোনও চুক্তি নেই। তবে সৌহার্দ্যের স্মারক হিসেবে প্রতি বছরই পুজোর আগে ভারতে ইলিশ মাছ পাঠাতেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, ভারতে ইলিশ পাঠানো হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন সেই দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা। এই পরিস্থিতিতে পদ্মার ইলিশ ভারতে চোরাচালান করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই চোরাচালান রোধে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি-ও।

সূত্রের খবর, হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএসএফ-এর কর্তাদের সঙ্গে বিজিবি-র কর্তাদের এক বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে, গরু পাচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বিএসএফ। বিএসএফ-এর কর্তারা জানান, হাসিনার বিদায়ের পর, মেঘালয় থেকে বাংলাদেশে গবাদি পশু পাচারের বহু চেষ্টা করা হয়েছে। মেঘালয়ের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গবাদি পশু পাচারের এই চেষ্টা অবশ্য আটকে দিয়েছে বিএসএফ। এখনও পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৩টি গবাদি পশু উদ্ধার করা হয়েছে।

জবাবে বিজিবি ইলিশ পাচারের বিষয়টি তুলে ধরে। গত সপ্তাহে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সীমান্ত দিয়ে ইলিশ মাছ চোরাচালানের উপর নিবিড় নজর রাখতে বলেছে বিজিবিকে। এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গেও আলোচনা করেছে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ। বিএসএফ-এর ইন্টেলিজেন্স উইং-কে বিজিবি কর্তারা আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে মানব পাচার করার চেষ্টা করছে ভারতের স্থানীয় দালালরা। বাংলাদেশের নাগরিকদের ভুয়ো নথি তৈরি করে দিয়ে ভারতে নিয়ে আসছে তারা। এই ব্যক্তিরাই গবাদি পশু পাচারেও সহায়তা করছে।

এদিকে, অস্ত্রশস্ত্র এবং গরু পাচারে জড়িত বলে দাবি করে পাঁচ ভারতীয়কে আটক করেছে বিজিবি । বিএসএফ-এর দাবি, বিজিবি ভুল লোকদের গ্রেফতার করেছে। যাদের ধরা হয়েছে, তারা গরু পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করছিল। অসাবধানতাবশত সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)