Farmers Protest: MSP নিয়ে ৫ বছরের বড় গ্যারান্টি কেন্দ্রের, আপাতত স্থগিত কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান

Centre-Farmers Talk: পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে ট্রাক্টর নিয়ে বসে রয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। রবিবার আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, কৃষি প্রতিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। কৃষকদের পক্ষে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। রাত ৮টা ১৫ মিনিট থেকে শুরু হয় বৈঠক, চলে সোমবার রাত ১টা অবধি।

Farmers Protest: MSP নিয়ে ৫ বছরের বড় গ্যারান্টি কেন্দ্রের, আপাতত স্থগিত কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান
আন্দোলনকারী কৃষকরা।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Feb 19, 2024 | 6:55 AM

নয়া দিল্লি: ২০২০ সালের পর আবার ২০২৪ সালে আন্দোলনে পথে নেমেছেন কৃষকরা (Farmers)। এবারেও তাদের দাবি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্য়ারান্টি। এছাড়াও আরও দাবি তো রয়েইছে। দিল্লি চলো অভিযানের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। এদিকে অশান্তি রুখতে কৃষকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসছে কেন্দ্র। রবিবার চতুর্থ দফায় কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এমএসপি নিয়ে কেন্দ্র একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। সেই প্রস্তাবনা পড়া ও তা নিয়ে নিজেদের মধ্য়ে আলোচনা করার জন্য কিছু সময় চেয়েছে কৃষকরা। আপাতত দিল্লি চলো অভিযান স্থগিত রাখা হবে বলেই জানানো হয়েছে।

পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে ট্রাক্টর নিয়ে বসে রয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। রবিবার আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, কৃষি প্রতিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। কৃষকদের পক্ষে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। রাত ৮টা ১৫ মিনিট থেকে শুরু হয় বৈঠক, চলে সোমবার রাত ১টা অবধি।

বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান, কেন্দ্রের তরফে পাঁচ বছরের জন্য, সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে ডাল, ভুট্টা ও তুলা ফসল কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মুগ, মসুর ও উরদ ডাল উৎপাদনকারী কৃষকদের সঙ্গে ন্য়াশনাল কোঅপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন, ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার মতো সরকারি সংস্থাগুলি চুক্তি করবে। পাঁচ বছরের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদোর কাছ থেকে এই ফসল কেনা হবে। কত পরিমাণ ফসল কেনা হবে, তার কোনও উর্ধ্বসীমা ধার্য করা হয়নি। এই ফসল কেনা-বেচার জন্য আলাদা একটি পোর্টাল তৈরি করা হবে।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে পঞ্জাবের কৃষকরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন বলেই জানানো হয়েছে। ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বাড়ানো ও চাষের জমি যাতে উর্বর থাকে, তার উদ্যোগও নেওয়া হবে। কৃষকদের ঋণে ছাড় সহ অন্যান্য দাবিগুলি নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি। পরবর্তী বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হবে।

কৃষকদের তরফে প্রতিনিধি সারওয়াল সিং পান্ধের জানিয়েছে, আগামী ১৯ ও ২০ তারিখ কৃষকদের ফোরামে কেন্দ্রের এমএসপি নিয়ে প্রস্তাবনার আলোচনা করা হবে। সকলের সম্মতিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত দিল্লি চলো অভিযান স্থগিত রাখা হচ্ছে। যদি সমস্যার সমাধান না হয় এবং কৃষকদের দাবি পূরণ না করা হয়, তবে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের অভিযান শুরু করা হবে।