‘বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসার বেহিসেবি খরচে লাগাম দিক কেন্দ্র’, আবেদন সুপ্রিম কোর্টে

১০-১২ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে করোনা (COVID19) আক্রান্তদের চিকিৎসায়। সাধারণ মানুষের পক্ষে তা দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠছে। চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছেন বহু মানুষ

'বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসার বেহিসেবি খরচে লাগাম দিক কেন্দ্র', আবেদন সুপ্রিম কোর্টে
প্রতীকি ছবি, সৌজন্যে PTI
Follow Us:
| Updated on: May 12, 2021 | 1:49 PM

নয়া দিল্লি: ভয় শুধু ভাইরাসের নয়, ভয় খরচেরও। করোনা (COVID19) আক্রান্ত হয়ে অসুস্থতা বাড়লে হাসপাতালই হয় গন্তব্য। রোগীর ভিড়ে উপচে পড়া সরকারি হাসপাতালে ঠাঁই না মিললে বেসরকারি হাসপাতাল। আর সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা বিলের ভয়ে ঘুম উড়ে যায় পরিবার-পরিজনের। বিশ্ব জোড়া অতিমারীতে যখন মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত, তখন খরচের ক্ষেত্রে যদি লাগাম দেওয়া যায়, সেই আবেদনই এবার জানানো হল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। কেন্দ্রের উচিত বেসরকারি হাসপাতালগুলির করোনা চিকিৎসার খরচ বেঁধে দেওয়া, এমনটাই জানানো হয়েছে ওই আবেদনে। শীর্ষ আদালতে বুধবার এই আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী সচিন জৈন।

লাভ কম রেখে চিকিৎসা করুন:

আবেদনে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই বেসরকারি হাসপাতালগুলি তৈরি হয়েছে কম দামে পাওয়া সরকারি জমির ওপর অথবা কোনও সেবামূলক সংস্থার অনুদানে তৈরি হয়। তাই অন্তত করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে লাভ কম রেখে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া উচিত।

খরচ বেঁধে দিক কেন্দ্র:

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার খরচ যাতে কেন্দ্র বেঁধে দেয়, সেই আবেদনই জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের একটা বড় অংশের মানুষের কাছে এখনও কোনও সরকারি বা বেসরকারি স্বাস্থ্য বীমা করা নেই। নিম্নবিত্ত মানুষের পক্ষে তাই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তাই একটা নির্দিষ্ট খরচেই করোনার চিকিৎসার আবেদন করা হয়েছে। বীমা থাকলেও অনেক সময় তা থেকে বীমার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। এমন ঘটনাও ঘটতে দেখা গিয়েছে যেখানে, হাসপাতালের বিল এসেছে ১২ লক্ষ টাকার আর বীমা সংস্থা থেকে পাওয়া গিয়েছে মাত্র ৫-৬ লক্ষ টাকা।

কালোবাজারি:

শুধু চিকিৎসার খরচ নয়, সাধারণের একটা বড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে কালোবাজারি। ওষুধ থেকে অক্সিজেন, প্রাণদায়ী সব জিনিস অনেক চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারণ দামে সে সব কিনতে পারছেন না রোগীরা। যারা ব্যক্তিগতভাবে এই কাজ করছে অথবা যে হাসপাতালগুলিতে এই কারবার চলছে, সেগুলিকে চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই আবেদনে।

মাথায় হাত বীমা সংস্থাগুলির:

সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট উল্লেখ করে আইনজীবী জানিয়েছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলির খরচের কোনও হিসেব নেই, তাই এ ক্ষেত্রে অনেক বীমা সংস্থাই খরচ দিতে আপত্তি জানাচ্ছে। বেহিসেবি টাকা দিতে মাথায় হাত পড়ছে বীমা সংস্থাগুলিরও। ফলে পকেটে নগদ টাকা না থাকলে চিকিৎসা করানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ছে।