Goa Congress: গোয়া-বিদ্রোহ ঠেকালো কংগ্রেস, তবে ছাইয়ের নিচে এখনও জ্বলছে ধিকি ধিকি আগুন

Goa Congress: আপাতত বিদ্রোহ ঠেকালো কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি হল না প্রতিবেশী রাজ্য গোয়ায়। তবে সূত্রের খবর, এখনও সম্ভাব্য দলত্যাগী বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিজেপি।

Goa Congress: গোয়া-বিদ্রোহ ঠেকালো কংগ্রেস, তবে ছাইয়ের নিচে এখনও জ্বলছে ধিকি ধিকি আগুন
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2022 | 4:20 PM

পঞ্জিম: আপাতত বিদ্রোহ ঠেকালো কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি হল না প্রতিবেশী রাজ্য গোয়ায়। তবে সূত্রের খবর, এখনকার মতো বিদ্রোহ ঠেকানো গেলেও, যে কোনও সময়ই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে গোয়া কংগ্রেস। যে বিধায়কদের দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে পাড়ি দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তাঁরা এখনও যোগাযোগ রেখে চলেছেন রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে। অর্থাৎ, ছাইয়ের তলায় এখনও ধিকি ধিকি জ্বলছে আগুন। একটু আরব সাগরের হাওয়া পেলেই ফের দেখা যেতে পারে বিদ্রোহের শিখা।

গত শনিবার কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ৩ বিধায়ক। রবিবার আবার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ৫ জন কং বিধায়কের। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে ফিরে এসে তাঁরা সকলেই দাবি করেছেন, তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গেই আছেন। তবে, কংগ্রেস দল তা মানছে না। দলীয় এক সূত্রের দাবি, ‘অপারেশন কমল’ এখনও জারি রয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাতের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রয়েছে বিজেপির। সামান্য সুযোগ পেলেও, ফের এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা চালানো হবে। তাই দলের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য দলত্যাগী বিধায়কদের উপর নজর রাখা হবে।

কী পরিকল্পনা ছিল বিজেপির? কংগ্রেস দলের সূত্রে দাবি, গোয়ার একনাথ শিন্ডে হতে চলেছিলেন দিগম্বর কামাত। তাঁর সঙ্গে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন মাইকেল লোবোও। গোয়া কংগ্রেসের ওই সূত্রে দাবি, মোট ছয় জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতা নিজে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। প্রত্যেককে দলত্যাগ করার জন্য ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা নগদ অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাদের অন্য কোনও রাজ্যে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি চার্টার্ড ফ্লাইটও তৈরি রাখা হয়েছিল।

বিজেপির লক্ষ্য ছিল মোট ৮ জন কংগ্রেস বিধায়ককে ভাঙানো। দলত্যাগ বিরোধী আইনের বাধা এড়াতে, মোট দুই তৃতীয়াংশ বিধায়ক প্রয়োজন। অর্থাৎ, গোয়া কংগ্রেসের ১১ বিধায়কের মধ্যে ৮ জন। তবে, তড়িঘড়ি মাইকেল লোবোকে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে এবং লোবো ও কামাতের বিধায়ক পদ খারিজ করার আবেদন করেছে কংগ্রেস। এতেই এখনকার মতো ভাঙন ঠেকানো গিয়েছে। গোয়া কংগ্রেসের অবশ্য দাবি, তাঁদের দলে কোনও সমস্যা নেই। বিজেপিই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অন্যদিকে, হাত শিবিরের এই টালমাটাল অবস্থার পিছনে তাদের কোনও হাতই নেই বলে দাবি করেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেছেন, ‘কংগ্রেসের বর্তমান অবস্থার জন্য বিজেপির কিছু করার নেই।’