Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কোভ্যাকসিন নিতে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর, ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে প্রশ্ন উঠছে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে

সংস্থার তরফে দেওয়া সম্মতি পত্রে বলা হয়েছে, "ভারত বায়োটেকের কোভিড-১৯ টিকা জরুরী পরিস্থিতিতে সীমিত ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কোভ্যাকসিন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি উৎপাদনের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। তবে কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল কার্যকারিতা এখনও প্রমাণিত হয়নি"

কোভ্যাকসিন নিতে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর, ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে প্রশ্ন উঠছে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 16, 2021 | 2:47 PM

নয়া দিল্লি: দেশজুড়ে করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলেও ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন (Covaxin) ঘিরে বিতর্ক শেষ হচ্ছে না। শনিবার টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরুতে যাঁরা কোভ্যাকসিনের ডোজ পাচ্ছেন, তাঁদের দিয়ে একটি সম্মতি পত্রে (Consent forms) স্বাক্ষর করানো হচ্ছে, যেখানে বলা হয়েছে টিকাকরণের পর কোনও গুরুতর প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সংস্থার তরফে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ (compensation)।

ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)-র তৈরি কোভ্যাকসিনের এখনও তৃতীয় দফার ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়নি। তার আগেই মিলেছে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের সম্মতি। এই ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসক মহল থেকে শুরু করে বিরোধীরা। এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দু’দিন আগেই জানানো হয়েছে যে, ছাড়পত্র পাওয়া দুটি ভ্যাকসিনের মধ্যে কে কোন ভ্যাকসিনটি পাবেন, তা বেছে নিতে পারবেন না। আজ টিকা নেওয়ার আগে সম্মতি পত্রে স্বাক্ষর করার বিষয়টি সামনে আসতেই টিকা গ্রহীতাদের মনে তৈরি হয়েছে ভয়।

কী বলা হয়েছে সম্মতি পত্রে?

সংস্থার তরফে দেওয়া সম্মতি পত্রে বলা হয়েছে, “ভারত বায়োটেকের কোভিড-১৯ টিকা জরুরী পরিস্থিতিতে সীমিত ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কোভ্যাকসিন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি উৎপাদনের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। তবে কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল কার্যকারিতা এখনও প্রমাণিত হয়নি এবং এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। সুতরাং, টিকা পেলেও করোনার সতর্কতাবিধি মেনে চলা প্রয়োজন, এই বিষয়টি উপলব্ধি করা উচিত।”

আরও পড়ুন: ৩ কোটি থেকে দ্বিতীয় ধাপে ৩০ কোটি, আমজনতার করোনা টিকা পাওয়া নিয়ে রয়েই গেল ধোঁয়াশা

একইসঙ্গে টিকা গ্রহীতাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, “কোনও গুরুতর প্রতিকূল ঘটনার ক্ষেত্রে আপনাকে সরকারী বা সরকার অনুমোদিত হাসপাতালে যবতীয় চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হবে। যদি গুরুতর কোনও প্রতিকূল ঘটনা টিকার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে স্পনসর (বিবিআইএল) দ্বারা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, “টিকা নেওয়ার আগে সরকারকে দেওয়া টিকাকরণ কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে।” টিকা নেওয়ার সাতদিনের মধ্যে যদি গ্রহীতার কোনও উপসর্গ দেখা যায়, যেমন জ্বর বা শরীরে ব্যাথ্যা, তবে টিকা গ্রহীতাদের দেওয়া একটি ফর্মে তা লিখে রাখতে হবে। কোভ্যাকসিনের টিকা দেওয়ার পরই এই ফর্ম দেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুমোদিত দুটি ভ্যাকসিনকেই সুরক্ষিত হবে দাবি করা হলেও ভারত বায়োটেকের তরফে ভ্যাকসিন নিয়ে এই সম্মতি পত্র ঘিরেই তৈরি হয়েছে সংশয় ও শঙ্কা।

আরও পড়ুন: ২৬ জানুয়ারির ট্রাক্টর মার্চ ঘিরে অন্নদাতাদের প্রস্তুতি তুঙ্গে, বাড়ছে গোলমালের আশঙ্কা!