Manipur Landslide: বুকফাটা কান্না শহিদ পরিবারের, কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে একের পর এক জওয়ানের দেহ

Manipur Landslide: রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বাগডোগরা বিমানবন্দরে তিন জওয়ানের দেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছেন হাবিলদার বিক্রম সারকি, রাইফেলম্য়ান সঞ্জয় ওরায়ন, শুভম কুমার সিং।

Manipur Landslide: বুকফাটা কান্না শহিদ পরিবারের, কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে একের পর এক জওয়ানের দেহ
শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল শহীদ জওয়ানদের। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 1:57 PM

কলকাতা: কারোর কথা ছিল পরের মাসে বাড়ি ফেরার, কেউ বলেছিল এবার বাড়ি ফিরলে সপরিবারে দূরে কোথাও ঘুরতে যাবেন। আজ একইসঙ্গে বাড়ি ফিরছে পাঁচ জওয়ানের নিথর দেহ। চলতি সপ্তাহের বুধবারই মণিপুরের টুপুলে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ভয়ঙ্কর ভূমিধস নামে। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ৪৩ জন।  এরমধ্যে প্রচুর জওয়ানও রয়েছেন। ভূমিধসের খবর মিলতেই মণিপুরে পোস্টিং থাকা জওয়ানদের পরিবার উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিলেন। শেষ খবর পাওয়া অবধি মৃত জওয়ানদের মধ্যে রাজ্যের ৫ বাসিন্দা রয়েছেন। আজ মৃত জওয়ানদের দেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তিনজনের দেহ বাগডোগরা বিমানবন্দরে ও দুইজনের দেহ কলকাতা বিমানবন্দরে আনা হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,  বুধবারে ভয়াবহ ধসে মোট কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানা যাচ্ছে না। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২৯ জনের মৃত্য়ুর আশঙ্কা করা হলেও, শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন সিং জানিয়েছিলেন, ধসে কমপক্ষে ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শ্রমিক, রেলওয়ের কর্মী ও সেনা জওয়ানরাও রয়েছেন। বুধবার রাত থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। লাগাতার চারদিন ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। ধসের জেরে নেমে আসা কাদামাটি ও নদী থেকে দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান।

রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বাগডোগরা বিমানবন্দরে তিন জওয়ানের দেহ নিয়ে আসা হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছেন হাবিলদার বিক্রম সারকি, রাইফেলম্য়ান সঞ্জয় ওরায়ন, শুভম কুমার সিং। বিক্রম সারকি দার্জিলিংয়ের বিল ডিপো বাজার এলাকার বাসিন্দা। অপর জওয়ানও দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা।   শুভম কুমার সিং বিহারের কাটিহার জেলার বারসোইয়ের বাসিন্দা।

অন্যদিকে, কলকাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই জওয়ানের দেহ আসছে। টেরিটোরিয়াল আর্মিতে কর্মরত রাইফেলম্যান এস.কে.মইনুদ্দিন আহমেদ ও হাবিলদার সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিথর দেহ কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এসকে মইনুদ্দিন উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের ঘোড়ারাসের বাসিন্দা। হাবিলদার সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁর গোপালনগরের বাসিন্দা।

এছাড়া দুই জওয়ানের দেহ প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় পাঠানো হচ্ছে। আগরতলার বিমানবন্দরে আনা হবে রাইফেলম্যান সঞ্জয় দেবনাথ ও প্রশান্ত দেবের মরদেহ। সঞ্জয় দেবনাথ পশ্চিম ত্রিপুরার বৈদর্ধি গ্রামের বাসিন্দা। প্রশান্ত দেবও পশ্চিম ত্রিপুরার কোচপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রাজ্যের উদ্দেশে জওয়ানদের দেহ পাঠানোর  আগে ইম্ফল বিমানবন্দরে সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

গত বুধবার রাতে জিরিবাম জেলার টুপুল অঞ্চলে ধস নামে। সেই সময় ওই অ়ঞ্চলে রেললাইন পাতার কাজ চলছিল। তাদের  নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ানরা মোতায়েন ছিলেন। আচমকাই ধস নামায় শ্রমিক, জওয়ান ও বহু গ্রামবাসী ভেসে যান।