Murder Case: শৌচকর্ম করতে নেমেছিলেন তিন বন্ধু তারপরই…. ভেসে উঠল ACP-র ছেলের দেহ
Murder Case: খোদ এসিপি-র ছেলের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে হতবাক খোদ পুলিশও। তদন্তে উঠে এসেছে, দুই বন্ধুই পরিকল্পনা করে খুন করেন ওই যুবককে। লক্ষ্য শুধু এসিপি-র ছেলেই নন, তিনি নিজে পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন। জানা গিয়েছে, ভরদ্বাজ ও অভিষেক নামে দুই বন্ধু সঙ্গে বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন ওই যুবক।
নয়া দিল্লি: বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন লক্ষ্য চৌহান। দিল্লি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার যশপালের সিং-এর ছেলে লক্ষ্য় আর বাড়ি ফেরেননি। রাত পেরিয়ে পরের দিনও ছেলের কোনও খোঁজ না পেয়ে তৎপর হয় পরিবার। এসিপি নিজে ছেলের জন্য একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর শুরু হয় খোঁজ। পরিচিত জায়গাগুলিতে খোঁজ নিলেও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর বিয়েবাড়ির ঠিকানা ধরে এগোতে এগোতে একটি পুকুরের খোঁজ পায় পুলিশ। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় লক্ষ্যের দেহ। খোদ এসিপি-র ছেলের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে হতবাক খোদ পুলিশও। তদন্তে উঠে এসেছে, দুই বন্ধুই পরিকল্পনা করে খুন করেন ওই যুবককে। লক্ষ্য শুধু এসিপি-র ছেলেই নন, তিনি নিজে পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন।
জানা গিয়েছে, ভরদ্বাজ ও অভিষেক নামে দুই বন্ধু সঙ্গে বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন তিস হাজারি কোর্টের আইনজীবী লক্ষ্য। সেখান থেকে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। টাকা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে ওই যুবকের বচসা চলছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই খুনের অভিযোগে অভিষেক নামের ওই বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। তবে ভরদ্বাজের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অভিষেক জানিয়েছেন ভরদ্বাজই ওই বিয়েবাড়িতে ডেকেছিলেন লক্ষ্যকে।
জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে মুনাক ক্যানালের কাছে শৌচকর্ম করতে নেমেছিলেন তিন বন্ধু। সেই সময় আচমকাই লক্ষ্যকে পিছন থেকে ঠেলে খালে ফেলে দেন অভিষেক ও ভরদ্বাজ। এরপর ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি করে পালিয়ে যান তাঁরা। জানা যাচ্ছে, ভরদ্বাজের থেকে কিছু টাকা ধার হিসেবে নিয়েছিলেন লক্ষ্য। সেই টাকা ফেরত দিতে চাইছিলেন না বলেই নাকি বচসা চলছিল। জেরায় এ কথাই জানিয়েছেন অভিষেক। তাঁর দাবি, তিনিই গাড়ি থেকে ভরদ্বাজকে একটি বিশেষ জায়গায় নামিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর আর কোনও খোঁজ তিনি পাননি। ভরদ্বাজকে খুঁজতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।