Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Delhi: স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার ভয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ, তদন্তে নেমে বেকুব দিল্লি পুলিশ

Delhi woman lodges false rape complaint: ২৬ ফেব্রুয়ারি এক বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থানায় এসেছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ করেছিলেন ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁকে কালিন্দি কুঞ্জ মেট্রো স্টেশন থেকে চার অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি অপহরণ করে দুই দিন ধরে গণধর্ষণ করেছে।

Delhi: স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার ভয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ, তদন্তে নেমে বেকুব দিল্লি পুলিশ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 08, 2023 | 9:38 PM

নয়া দিল্লি: এক বছরের মেয়েকে নিয়ে থানায় এসেছিলেন বছর ২২-এর তরুণী। পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে অপহরণ করে দুদিন ধরে গণধর্ষণ করেছে অজ্ঞাত পরিচয় কিছু দুষ্কৃতী। অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ, বেশ কয়েকটি দল তৈরি করে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। এক সপ্তাহ ধরে তদন্তের পর পুরো বেকুব বনে গিয়েছে তারা। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারিনী পুরোটাই মিথ্যা বলেছেন। তাঁকে অপহরণ বা ধর্ষণ করা হয়নি। স্বামী রেগে যাবেন, এই ভয়েই তিনি মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির কালিন্দি কুঞ্জ এলাকায়।

এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে থানায় এসে ওই মহিলা জানিয়েছিলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে কালিন্দি কুঞ্জ মেট্রো স্টেশন থেকে চার অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী তাঁকে অপহরণ করেছিল। তারপর তাঁকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পরের দুই দিন ধরে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বিকাশপুরী এলাকায় পৌঁছে দেন। এই গুরুতর অভিযোগ পেয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। মহিলা তাঁর লিখিত অভিযোগে যে যে জায়গার নাম করেছিলেন, সবকটি জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন দল পাঠানো হয়। স্থানীয়রা যারা মহিলাকে উদ্ধার করেছিলেন, তাঁদের খোঁজেও বেশ কয়েকটি অভিযান চালানো হয়েছিল।

দক্ষিণপূর্ব দিল্লির ডিসিপি রাজেশ দেও বলেছেন, “তল্লাশি করে কিছুই পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারিনীর প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই মহিলার সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিচয় পাওযা গিয়েছিল। এছাড়া, কালিন্দি কুঞ্জ মেট্রো স্টেশনের কাছে সিসিটিভি ফুটেজও আমরা খতিয়ে দেখেছিলাম। তাতে দেখা গিয়েছে, ২২ ফেব্রুয়ারি ওই মহিলা তাঁর শিশুকে নিয়ে একা একাই হেঁটে যাচ্ছেন। তারপর তাঁকে একটি ই-রিকশায় উঠতে দেখা গিয়েছে। ওই ফুটেজ ধরে মহিলার একটি রুট ম্যাপ তৈরি করা হয়। দেখা যায় তিনি মদনপুর খদ্দর এক্সট এলাকায় গিয়েছিলেন। ওই এলাকায় গিয়ে তাঁর আত্মীয় এবং বন্ধুদের সন্ধান পাওয়া যায়।”

আকবর আলি নামে মহিলার এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, যে দুদিন তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, ওই দুই দিন আকবরের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। আকবর আলির স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার করে ওই মহিলা তাদের বাড়িতে থাকতে এসেছিলেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়েছে। তাঁর স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সব দিক থেকেই প্রমাণিত হয়েছে যে ওই মহিলা মিথ্যা বলেছেন।

কিন্তু, কেন হঠাৎ এমন মিথ্যা অভিযোগ করতে গেলেন ওই মহিলা? জানা গিয়েছে, স্বামী অত্যন্ত রাগারাগি করবেন, এই আশঙ্কাতেই অপহরণ ও ধর্ষণের কাহিনি তৈরি করেছিলেন ওই মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে কালিন্দি কুঞ্জ এলাকার বিকাশপুরী ক্যাম্পে থাকেন ওই ২২ বছরের রোহিঙ্গা মহিলা। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর আকবর আলির সঙ্গে তাঁর বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। দুদিন পর বাড়িতে ফিরে আসেন। আকবরের বাড়িতে ছিলেন জেনে স্বামী অত্যন্ত রাগারাগি করবেন। আকবরের সঙ্গেও তাঁর ঝামেলা লেগে যেতে পারে। এই সব আশঙ্কাতেই তিনি থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। তবে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য ওই মহিলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।