‘…সারা দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন চাই’, দাবি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

সাংবাদিকদের তিনি জানান, যেসব রাজ্যে জনবিস্ফোরণ হচ্ছে, সেখানে এই আইন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

'...সারা দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন চাই', দাবি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
ছবি - পিটিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2021 | 6:17 PM

মুম্বই: উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) খসড়া জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল নিয়ে এসেছেন। যেখানে ২ সন্তানের বেশি থাকলে কোনও ব্যক্তি সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। সেই বিলকে সমর্থন জানালেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনের ভিত্তিতে সারা দেশে এই আইন বলবৎ করা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, যেসব রাজ্যে জনবিস্ফোরণ হচ্ছে, সেখানে এই আইন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

তবে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এ-ও জানিয়েছেন, চিনের মতো এই আইন কায়েম করতে চান না তাঁরা। কিন্তু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজনীয়। উত্তর প্রদেশের আগে একই খসড়া বিল এনেছে অসমও। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের খসড়া বিল প্রকাশ্যে এনে যোগীর দাবি, ২০২৬ সালের মধ্যে জন্মহার ২.১-এ নামিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করবেন তিনি। যোগী জানিয়েছেন, সমাজের বিভিন্ন বিভাগকে মাথায় রেখেই এই নীতি কায়েম করার কাজ করবে তাঁর সরকার।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই নীতির মাধ্যমে শুধু জন্ম নিয়ন্ত্রণ নয়, তার সঙ্গে মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দেওয়াও সহজ হবে। আসন্ন উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হতে চলেছে এই জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিল। যোগী আদিত্যনাথের সরকার এই বিলে সাফ জানিয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তির দু’য়ের বেশি সন্তান থাকে, তাহলে তিনি স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সরকারি চাকরি বা অন্যান্য সুবিধা থেকেও তিনি বঞ্চিত হবেন। সরকারি চাকুরিজীবী হলে তাঁর পদোন্নতি হবে না।

পাশাপাশি এই বিলে বলা হয়েছে, ২ সন্তান থাকলে চাকুরিজীবী কোনও ব্যক্তি ২ বার ইনক্রিমেন্ট পাবেন। তার সঙ্গে পুরো বেতন-সহ পিতৃত্বকালীন ছুটিও পাবেন। ন্যাশনাল পেনসন স্কিমেও বাড়তি টাকা মিলবে নিয়ম মানলে। যদিও এই বিলকে ‘রাজনীতির এজেন্ডা’ হিসেবেই দেখছে সমাজবাদী পার্টি। তাঁদের অভিযোগ, এই বিলের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে যোগী সরকার। একই অভিযোগ কংগ্রেসেরও। আরও পড়ুন: করোনায় মৃতের সংখ্যা লুকোচ্ছে যোগী সরকার, অভিযোগ অখিলেশের