Veena Vijayan: এবার ইডির নজরে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে, কী অপরাধ তাঁর?
ED case against Veena Vijayan: বুধবার (২৭ মার্চ), এই কেন্দ্রীয় সংস্থা তহবিল তছরুপের মামলা নথিভুক্ত করল কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মেয়ে বীনা বিজয়নের বিরুদ্ধে। বীনা বিজয়ন ছাড়াও মামলা করা হয়েছে তাঁর আইটি সংস্থা এবং আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। কী অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে?
তিরুবন্তপুরম: আরও এক অবিজেপি শাসিত রাজ্যে সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। বুধবার (২৭ মার্চ), এই কেন্দ্রীয় সংস্থা তহবিল তছরুপের মামলা নথিভুক্ত করল কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মেয়ে বীনা বিজয়নের বিরুদ্ধে। বীনা বিজয়ন ছাড়াও মামলা করা হয়েছে তাঁর আইটি সংস্থা এবং আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এক বেসরকারি খনিজ সংস্থা বীনা বিজয়ন এবং তাঁর সংস্থাকে অবৈধ উপায়ে অর্থ প্রদান করেছে বলে অভিযোগ ইডির। এই অভিযোগেই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা পিএমএলএ-র অধীনে এই মামলা নথিভুক্ত করেছে ইডি। শিগগিরই এই মামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তলব করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস বা এসএফআইও-র দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় সংস্থাটি এই মামলা দায়ের করেছে।
এর আগে, এই বিষয়ে একটি তদন্ত করছিল আয়কর বিভাগ। আয়কর বিভাগের অভিযোগ, ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে, বীণা বিজয়নের সংস্থা, এক্সালজিক সলিউশনকে বেআইনিভাবে ১.৭২ কোটি টাকা দিয়েছিল ‘কোচিন মিনারেলস অ্যান্ড রিউটাইল লিমিটেড’ নামে এক বেসরকারি খনিজ সংস্থা। কিন্তু, তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাটি ওই খনিজ সংস্থাটিকে কোনও পরিষেবাই দেয়নি। তাই, তারা কেন এই টাকা দিয়েছিল, তার কোনও উত্তর নেই। এরপরই বীণা বিজয়নের এক্সালজিক সলিউশনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল এসএফআইও। গত মাসে এই তদন্তের বন্ধের কর্নাটক হাইকোর্টে আবেদন করেছিল বীণার সংস্থা। কিন্তু, হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়েকে যে ১.৭২ কোটি টাকা দিয়েছিল কোচিন মিনারেলস অ্যান্ড রুটাইল লিমিটেড, তা প্রথম ফাঁস হয়েছিল এক মালায়ালম দৈনিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে। এরপর, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক এই বেসরকারি খনিজ সংস্থা এবং বীনার আইটি ফার্মের মধ্যে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। যা নিয়ে কেরলে বড় সড় রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। তদন্তকারীদের দাবি, ওই সংস্থাটি ক্ষমতাসীন সিপিআই(এম) এবং বিরোধী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ জোট – দুই শিবিরের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গেই আর্থিক লেনদেনে যুক্ত ছিল কোটির ওই সংস্থাটি। এর যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এবার আসরে নামল ইডি।
দীর্ঘদিন বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে। নির্বাচনের আগ দিয়ে এই অভিযোগের ঝাঁঝ আরও বেড়েছে। মার্চের শুরুতে এক জমি কেলেঙ্কারি মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করে ইডি। গত সপ্তাহেই দিল্লির আবদারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় অরবিন্দ কেজরীবালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। একই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেসআর-এর কন্যা কে কবিতাকেও। আজ, কেরলে মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ের বিরুদ্ধেও মামলা নথিভুক্ত করা হল। এবার কি বীণা বিজয়নের গ্রেফতারির পালা?