Bharat Jodo Yatra: ভারত জোড়ো যাত্রার নিমন্ত্রণ ফিরিয়ে মোদীর ‘যাত্রায়’ সামিল হওয়ার ডাক উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর
Bharat Jodo Yatra: ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেওয়ার নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেই আমন্ত্রণের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
লখনউ: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রায় ( Bharat Jodo Yatra) যোগদানের জন্য নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা। তবে তিনি মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর সেই নিমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেন। বরং এই দেশকে জুড়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচেষ্টায় কংগ্রেস নেতাকে শামিল হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা। আগামী ৩ জানুয়ারি তা উত্তর প্রদেশে প্রবেশ করবে।
তবে কংগ্রেসের এই যাত্রার উত্তর প্রদেশের প্রবেশ নিয়ে ঠাট্টা করেন বিজেপি নেতা তথা উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা। তিনি এই যাত্রাকে কটাক্ষ করে বলেন, যাঁরা “ভারত তোড়ো”-র সঙ্গে জড়িত তাঁরা আবার “ভারত জোড়ো” যাত্রায় বেরিয়েছেন। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস একাধিক অ-বিজেপি দলগুলিকে এই ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করেছিল। যেমন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বিএসপির মায়াবতী ও আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরীকে উত্তর প্রদেশে এই যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়। তবে প্রথমে তাঁদের এই যাত্রায় অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও পরে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়। গতকালই এসপি ও বিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, অখিলেশ বা মায়াবতী দু’জনের কেউই হয়তো এই যাত্রায় অংশগ্রহণ করছেন না। তবে তাঁরা এই যাত্রার পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। তাই তাঁরা সরাসরি এই যাত্রায় অংশ না নিলেও তাঁদের দলের প্রতিনিধিদের এই যাত্রায় অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ার কারণে দীনেশ শর্মাকেও এই যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, “বিভিন্ন রাস্তাঘাট বানিয়ে এবং নানা উন্নয়নমূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ভারতকে সংযুক্ত করার জন্য আসল প্রচেষ্টা করছে।” এছাড়াও তিনি এদিন প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার অন্যান্য উদাহরণও তুলে ধরেন। যার মধ্য়ে অন্যতম হল জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে রাস্তা নির্মাণ। তিনি আরও বলেন যে, কংগ্রেসে প্রচুর নেতিবাচক ধ্যান ধারণা রয়েছে। এবং তা জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতায় এবং কেরলে মুসলিম লীগের সঙ্গে হাত মেলানোয় স্পষ্ট হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কংগ্রেসের তরফে ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সংবাদ মাধ্যম মারফতই তিনি এই বিষয়ে জানতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।