S Jaishankar: ‘বুলি’রা বিপদে ৪৫০ কোটি ডলারের অর্থ সাহায্য করে না!, মলদ্বীপের চোখের পর্দা সরিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী
India-Maldives Row: গত জানুয়ারিতেই মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু বলেছিলেন, "আমাদের দেশ ছোট হলেও, তা অন্য কোনও দেশকে আমাদের হেনস্থা করার অধিকার দেয় না"। রবিবার মুইজ্জুর এই মন্তব্যের প্রসঙ্গ ধরেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে ভারত কি মলদ্বীপকে 'বুলি' করে?
নয়া দিল্লি: ভারত যে মলদ্বীপের থেকে ঢের গুণ বেশি শক্তিশালী দেশ, তা মলদ্বীপেরও জানা। তবুও পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করছে মুইজ্জু সরকার। এক্ষেত্রে ভারত যেহেতু বেশি শক্তিধর দেশ, তাই তারা কি মলদ্বীপকে “বুলি” বা হেনস্থা করছে? এমনটাই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে। এর চাঁচাছোলা জবাবও দিলেন বিদেশমন্ত্রী। বললেন, “ক্ষমতাশালী, হেনস্থাকারী দেশ বিপদের সময় প্রতিবেশীদের ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের সাহায্যে করে না।”
গত জানুয়ারিতেই মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু বলেছিলেন, “আমাদের দেশ ছোট হলেও, তা অন্য কোনও দেশকে আমাদের হেনস্থা করার অধিকার দেয় না”। রবিবার মুইজ্জুর এই মন্তব্যের প্রসঙ্গ ধরেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে ভারত কি মলদ্বীপকে ‘বুলি’ করে?
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “বিশ্বের এই অংশে যে বড় পরিবর্তন হয়েছে, তা হল ভারত ও পড়শি দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ক। যখন আপনারা ভারতকে ‘বিগ বুলি’ হিসাবে দেখেন, তখন এটা মনে রাখা উচিত যে ‘বুলি’রা তাদের প্রতিবেশীদের বিপদের সময় ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য করে না। নিজের দেশে কোভিডের প্রকোপ থাকা সত্ত্বেও অন্য দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে না কিংবা নিজেদের নিয়মে পরিবর্তন এনে খাদ্য, জ্বালানি বা সারের চাহিদা পূরণ করে কারণ বিশ্বের অন্য কোনও প্রান্তে যুদ্ধের জেরে সাধারণ মানুষের জীবন জটিল হয়ে গিয়েছে।”
প্রতিবেশী দেশগুলির কঠিন সময়ে ভারত কীভাবে তাদের পাশে থেকেছে এবং সাহায্য করেছে, তা তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত করে তোলার উদাহরণ দেন তিনি। বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্যের যে হার রয়েছে, যা বিনিয়োগ রয়েছে, তাতে খুব খুব ভাল গল্প বলা যায়। শুধুমাত্র নেপাল বা বাংলাদেশ নয়, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, এমনকী আমি বলব মলদ্বীপের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই মহম্মদ মুইজ্জু ভারতকে সেনা প্রত্য়াহার করার নির্দেশ দেন তিনি। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী লাক্ষাদ্বীপের পর্যটনের প্রচার করার পরই ঝগড়া শুরু করেছে মলদ্বীপ।