BSNL Corruption Case: BSNL-এর ২১ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর, তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই
BSNL Corruption Case: প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার ছাড়াও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, জোড়হাট, শিবসাগর, গুয়াহাটি শাখার চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসারদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে।
নয়া দিল্লি: বিএসএনএলের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ২১ জন অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তে নেমে শুক্রবার দেশের ২৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। আধিকারিকদের তালিকায় নাম রয়েছে এক প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজারের। টেলিকম সংস্থাকে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। এক ষড়যন্ত্র চলছিল বলেই দাবি সিবিআই-এর।
সিবিআই-এর এফআইআরে মূলত বিএসএনএলের অসম সার্কেলের অফিসারদের নাম রয়েছে। প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার ছাড়াও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, জোড়হাট, শিবসাগর, গুয়াহাটি শাখার চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসারদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে।
এক কনট্রাক্টরকে কাজ দেওয়া নিয়েই মূলত অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই-এর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওই কনট্রাক্টরকে ৯০ হাজার কিলোমিটার জুড়ে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ দেওয়া হয়েছিল। আর সেই ব্যক্তির সঙ্গেই ষড়যন্ত্রে অফিসাররা জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি,ওই কনট্রাক্টর টেন্ডারের অনেক নিয়ম লঙ্ঘন করেছিলেন। এমন কিছু কাজ করেছিলেন, যাতে বিএসএনএলের ২২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। এই অভিযোগেই সম্প্রতি এফআইআর দায়ের হয়। এরপর শুক্রবার অসম, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্যে ওই অফিসারদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সূত্রের খবর, মূলত নথির তল্লাশি করতেই এই অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। যে তথ্য তাদের হাতে এসেছে তার থেকেই মামলায় আরও এগোতে পারবে গোয়েন্দা সংস্থা।