Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gaganyaan: মহাশূন্যে কবে যাচ্ছেন ভারতীয় মহাকাশচারীরা? গগনযান নিয়ে বড় আপডেট দিলেন ইসরো প্রধান

ISRO: ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, "গগনযান প্রকল্পে তিনজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে তিনদিনের জন্য পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ভারতের তৈরি মহাকাশযান এলভিএম৩-তে করে মহাকাশচারীদের মহাশূন্যে পাঠানো হবে।"

Gaganyaan: মহাশূন্যে কবে যাচ্ছেন ভারতীয় মহাকাশচারীরা? গগনযান নিয়ে বড় আপডেট দিলেন ইসরো প্রধান
ইসরো প্রধান এস সোমনাথ।Image Credit source: ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2023 | 2:13 PM

নয়া দিল্লি: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর সাফল্যের হাত ধরেই ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে ভারত। রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর ভারত চতুর্থ দেশ, যারা চাঁদের মাটিতে পা রাখল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের ক্ষেত্রে আবার ‘ফার্স্ট বয়’ ভারতই। চন্দ্রযানের এই সাফল্য়ে ইসরো(ISRO)-কে সাধুবাদ জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে এই প্রশংসার বন্যা, আবেগে গা ভাসাচ্ছেন না ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান-৩ এর চাঁদে অবতরণের পরই পরবর্তী মিশনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসরো। চন্দ্রযানের পর এবার পালা গগনযানের (Gaganyaan)। আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই গগনযান প্রকল্পের প্রথম ধাপ সম্পূর্ণ করতে পারে ইসরো। এমনটাই জানালেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somnath)। ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ চলছে মহাকাশচারীদের। শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক প্রস্তুতিও।

চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের পরই গগনযান নিয়ে আপডেট দিলেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের প্রধান এস সোমনাথ। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই মহাকাশে মানব পাঠাতে সফল হবে ইসরো।

তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসের গোড়াতেই গগনযান প্রকল্পের প্রথম ধাপ পূরণ করা হবে। এই ধাপে ক্রু মডিউলের কার্যকলাপ ও মহাকাশচারীরা কীভাবে মহাকাশযান থেকে বেরতে পারবেন, তার  ক্ষমতা প্রদর্শন করবে। এর পরের ধাপে একাধিক টেস্ট মিশন পরিচালন করা হবে মূল ধাপে, যেখানে মহাকাশে মহাকাশচারীদের পাঠানো হবে, সেই ধাপে পা দেওয়ার আগে।

ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, “গগনযান প্রকল্পে তিনজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে তিনদিনের জন্য পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ভারতের তৈরি মহাকাশযান এলভিএম৩-তে করে মহাকাশচারীদের মহাশূন্যে পাঠানো হবে।”

জানা গিয়েছে, ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় মহাকাশে পাঠানো হবে তিন মহাকাশচারীকে। ইতিমধ্যেই তাদের স্পেসস্যুট বানাতে দেওয়া হয়েছে। মহাকাশে পাঠানোর তিনদিন পর ওই মহাকাশযান ভারত মহাসাগরে অবতরণ করবে। মহাকাশচারী বা নভোশ্চরদের যাতে নিরাপদভাবে পৃথিবীর বুকে ফিরিয়ে আনা যায়, তার পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলছে।

শুধুমাত্র গগনযানই নয়, আদিত্য এল-১ মিশন নিয়েও কথা বলেন ইসরোর প্রধান। তিনি জানান, আদিত্য এল -১ মিশনে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করা হবে। আগামী সেপ্টেম্বরেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হতে পারে। আদিত্য এল-২ মিশন সূর্যের সবথেকে শেষ স্তর নিয়ে গবেষণা করবে।

এদিকে, এ দিনই কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে বলেন, “আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহেই ইসরো গগনযান প্রকল্পের ট্রায়াল শুরু করবে। গগনযান প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে যন্ত্রমানবী পাঠানো হবে। এই যন্ত্রমানবীর নাম ব্যোম মিত্র।”

তিনি বলেন, “গগনযান প্রকল্প করোনা প্য়ান্ডেমিকের কারণে পিছিয়ে গিয়েছিল। আমরা অক্টোবরের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহেই এই প্রকল্পের প্রথম ধাপ পূরণ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মহাকাশে মানব পাঠানোর মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ তাদের ফিরিয়ে আনাও। প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ব্যোম মিত্র নামক যন্ত্রমানবী পাঠানো হবে। ওই রোবট মানুষের সমস্ত কার্যকলাপ অনুকরণ করবে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তবে আমরা মহাকাশে পাঠানোর সবুজ সঙ্কেত পাব।”