Sukhvinder Singh Sukhu: হিমাচলের মান্ডিতেও এবার বাড়িঘরে ধরল ফাটল! তড়িঘড়ি কেন্দ্রের কাছে বিশেষ আর্জি মুখ্য়মন্ত্রীর

Himachal Pradesh Land Sinking: মুখ্যমন্ত্রী জানান, কিন্নর ও লাহুল-স্পিতি জেলাগুলির প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গাতেই মেঘভাঙা বৃষ্টি হচ্ছে। এখানে মাটিতে ফাটল ও ধসের খবরও মিলছে। দুই বছর আগে কিন্নর জেলায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে শুধু সাধারণ জনজীবন ও সম্পত্তির ক্ষতিই হয়নি, পাশাপাশি হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Sukhvinder Singh Sukhu: হিমাচলের মান্ডিতেও এবার বাড়িঘরে ধরল ফাটল! তড়িঘড়ি কেন্দ্রের কাছে বিশেষ আর্জি মুখ্য়মন্ত্রীর
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2023 | 11:54 AM

সিমলা: জোশীমঠের অবস্থা (Joshimath Sinking) দেখে ভয়ভীত গোটা দেশ। যেভাবে জোশীমঠের বাড়িঘর ও রাস্তায় ফাটল দেখা দিচ্ছে, সেই অবস্থা হতে পারে অন্যান্য পাহাড়ি শহরগুলিতেও। ইতিমধ্যেই হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে, মান্ডি জেলার রাস্তাঘাটেও ফাটল দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু (Sukhvinder Singh Sukhu)। শনিবার হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের মতো পরিণতি হতে পারে হিমাচল প্রদেশেরও। কেন্দ্রের কাছে আবেদন করছি যে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য রাজ্যের তহবিল বাড়ানো হোক।”

শনিবারই হিমাচল প্রদেশের জন্য দুটি ডপলার ওয়েদার র‌্যাডার সিস্টেমের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। সেখানেই তিনি জোশীমঠের ভূমিক্ষয়ের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রী জীতেন্দ্র সিংকেও রাজ্য পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ও সম্পত্তি নষ্টের সম্ভাবনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাহাড়ি অঞ্চলে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য রাজ্যের কাছে এতদিন পর্যাপ্ত প্রযুক্তি ছিল না। হিমাচল প্রদেশের আবহাওয়া  ভালভাবে বুঝতে আমাদের আরও চারটি ডেডিকেটেড ডপলার ওয়েদার র‌্যাডার সিস্টেমের প্রয়োজন।”

মুখ্যমন্ত্রী জানান, কিন্নর ও লাহুল-স্পিতি জেলাগুলির প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গাতেই মেঘভাঙা বৃষ্টি হচ্ছে। এখানে মাটিতে ফাটল ও ধসের খবরও মিলছে। দুই বছর আগে কিন্নর জেলায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে শুধু সাধারণ জনজীবন ও সম্পত্তির ক্ষতিই হয়নি, পাশাপাশি হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিমলা ও তার আশেপাশের অঞ্চলেও বিগত তিন থেকে চার দশক ধরে ধীরে ধীরে মাটিতে বসে যাচ্ছে।

এদিকে, হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার বাসিন্দারাও জানান, কিরাটপুর-মানালি হাইওয়েতে রাস্তা চওড়া করার কাজ চলছে। সেই কারণে একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরছে। গত বছর যখন এই রাস্তার নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল, সেই সময় থেকেই ফাটল শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মান্ডি জেলার লিঙ্ক রোড, যা শালানাল, তানহুলা ও জালানাল গ্রামকে সংযুক্ত করছে, সেই রাস্তার আশেপাশের অঞ্চলে গত বছর থেকেই বাড়িঘরে ফাটল ধরতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা বানানোর জন্য অবৈজ্ঞানিকভাবে গাছ কাটার ফলেই ভূমিধস ও বাড়িতে ফাটল ধরছে।