৪ মাস বাদে ৩০ হাজারের নীচে নেমেছিল আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনেই ৪৭ শতাংশ বাড়ল সংক্রমণ!

মঙ্গলবার সংসদে বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন যে কয়েকদিনের মধ্যেই শিশুদের টিকাকরণ শুরু করা যাবে, একটি ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে কথা চলছে।

৪ মাস বাদে ৩০ হাজারের নীচে নেমেছিল আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনেই ৪৭ শতাংশ বাড়ল সংক্রমণ!
আজমেরে টিকাকেন্দ্রের বাইরে ভিড়। ছবি: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2021 | 2:22 PM

নয়া দিল্লি: চার মাস বাদে মঙ্গলবারই দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের নীচে নেমেছিল। কিন্তু পরেরদিনই ফের বাড়ল দেশে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৫৪ জন। একইসঙ্গে বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৬৪০ জনের। অর্থাৎ একদিনেই ৪৭ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে।

দীর্ঘ কয়েক মাস বাদে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা চার লক্ষের নীচে নেমেছে। বেড়েছে সুস্থতার হারও। একদিনেই সক্রিয় রোগী (Active Case)-র সংখ্যা ১৩৩৬ কমায় বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৩৬-এ কমে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪১ হাজার ৬৭৮ জন। এই নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৪৭-এ।

দেশে মোট করোনা সংক্রমণের ৪০ শতাংশই বর্তমানে কেরল (Kerala) থেকে হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও সে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ১২৯ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফেও কেরল ও মহারাষ্ট্রকে অতিরুক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, “দেশের ৫০ শতাংশ সংক্রমণই এই দুই রাজ্য থেকেই হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভাল হওয়ায় মৃত্যু হার তুলনামূলকভাবে কম।”

দেশে এখনও অবধি মোট টিকা পেয়েছেন ৪৪ কোটি ১৯ লক্ষের বেশি মানুষ। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি মিলিয়ে এখনও অবধি মোট ২.২৮ কোটি ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। যদিও মুম্বই সহ একাধিক জায়গায় প্রায় সময়ই টিকা ঘাটতির কারণে বড় বড় টিকাকেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

মঙ্গলবারই কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় কোনও গাফিলতি চলবে না। নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল বলেন, “এই প্যানডেমিক শেষ হওয়া থেকে এখনও অনেক দূরে অবস্থান করছে। সুতরাং আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। আমরা ক্লান্ত হলেও ভাইরাস কিন্তু ক্লান্ত হয়নি।” টিকাকরণের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “১০০ সতাংশ গ্যারান্টি তো কোনও ভ্যাকসিনই দিতে পারে না। আমাদের দেশে তৈরি ভ্যাকসিনও একই। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সংক্রমিত হওয়া বা গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে। মৃত্যুর সম্ভাবনাও প্রায় সম্পূর্ণ রূপে এড়ানো সম্ভব টিকাকরণের মাধ্যমে।”

এ দিকে, সংসদে কেন্দ্রের তরফে সম্প্রতিই জানানো হয়েছিল, অক্সিজেনের অভাবে কোনও মৃত্য়ু হয়নি। এই বিবৃতি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পরই কেন্দ্রের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে করোনায় মৃতের যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে, এমনটাই সূত্রের খবর। বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই এই তথ্য জমা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার সংসদে বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন যে কয়েকদিনের মধ্যেই শিশুদের টিকাকরণ শুরু করা যাবে, একটি ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে কথা চলছে। আরও পড়ুন:  আগরতলায় আটকে দেওয়া হল ব্রাত্য, মলয় ঘটকদের, আইপ্যাকের ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু ত্রিপুরায়