‘গণতন্ত্রের অধিকারে বিশ্বাসী দুই দেশ’, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুতের বার্তা ব্লিনকিনের

দু'দিনের সফরে দুই দেশের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে আমেরিকা। অন্যদিকে, কেন্দ্রের তরফে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে দুই দেশের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আলোচনা করা উচিত বলে জানানো হয়েছে।

'গণতন্ত্রের অধিকারে বিশ্বাসী দুই দেশ', দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুতের বার্তা ব্লিনকিনের
ভারতে এসে পৌঁছলেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিন। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2021 | 12:27 PM

নয়া দিল্লি: বুধবারই দু’দিনের ভারত সফরে আসছেন মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিন। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্তিতি, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুই দেশের মধ্য়ে সংযোগ বৃদ্ধি এবং করোনা পরিস্থিতি ও মোকাবিলা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। তবে সফরের আগেও ফের একবার ব্লিনকিনের মুখে উঠে আসল ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা।

গত শুক্রবারই মার্কিন সহকারি সচিব  ডিন থমসন জানিয়েছিলেন, ভারত সফরে গিয়ে ব্লিনকিন মানবাধিকার নিয়ে কথা বলবেন। এরপরই কেন্দ্রের তরফে পাল্টা জবাবে বলা হয়েছিল,  “মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের অধিকার- এই দুটি ক্ষেত্রেই ভারত নিজেদের সাফল্য নিয়ে গর্বিত এবং বরাবরই সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে এসেছে।” কার্যত এই জবাবে মানবাধিকার প্রসঙ্গকে দমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ দিন ভারত সফর শুরুর আগে স্টেট সেক্রেটারি ব্লিনকিন বলেন, “ভারত ও আমেরিকার গণতন্ত্রের অন্যতম দুটি স্তম্ভ হল আইনের শাসন ও স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা। এরমধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাস ও স্বাধীনতাও অন্তর্ভুক্ত। ভারত ও আমেরিকাবাসী সম্মান, সুযোগের সমাধান অধিকার, আইনের শাসন ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ এগুলি।”

এ দিন বিকেলেই ব্লিনকিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও তাঁর বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে। আগে ভারতে এলেও বাইডেন প্রশাসনের শাসনকাল শুরু হওয়ার পর তৃতীয়বার এবং মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি হিসাবে এটিই প্রথম ভারত সফর ব্লিনকিনের। এখান থেকে তিনি কুয়েত সফরেও যাবেন।

দু’দিনের সফরে দুই দেশের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে আমেরিকা। এর আগে মার্চ মাসে মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন ভারতে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। যদিও কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে কিনা, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

সূত্র অনুযায়ী, কেন্দ্রের তরফে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারকে দুই দেশের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আলোচনা করা উচিত বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, কোয়াডের অধীনের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এবং চিনের আধিপত্য বৃদ্ধি নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরুর পরই যে তালিবান অভ্যুত্থান হয়েছে এবং ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টিব হয়েছে, সেই বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।

করোনা টিকাকরণের জন্য উৎপাদন সামগ্রীর মুক্ত ও নিয়মিত সরবরাহ নিয়েও মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবে ভারত, এমনটাই জানা গিয়েছে। এছাড়া সামরিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়েও কথা হবে বলে জানা গিয়েছে।   আরও পড়ুন: জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়লেও কর্তব্যে অবিচল প্রধানমন্ত্রী, ডেল্টার দাপটে সিডনিতে লকডাউন আরও ৪ সপ্তাহ