Varanasi Rape Case: ‘৭ দিন ধরে ২৩ জন ধর্ষণ করেছে’, ১৯ বছরের তরুণীর দাবিতে গ্রেফতার ৬
Varanasi Rape Case: গত ২৯ মার্চ নিখোঁজ হয়ে যান ওই তরুণী। এর পর ৪ এপ্রিল বাড়িতে ফিরে আসেন নির্যাতিতা। বাড়িতে ফিরে নিজের পরিবারকে সবটা খুলে জানান নির্যাতিতা। এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

১৯ বছর বয়স তরুণীর। এক সপ্তাহে আগেই হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। সাত দিন পর ফিরে এসে যা শোনালেন তাতে হাড় হিম যাচ্ছে সকলের। বারাণসীর বাসিন্দা ওই তরুণী জানান, গত সাত দিন ধরে ২৩ জন তাঁকে ধর্ষণ করেছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ২৯ মার্চ নিখোঁজ হয়ে যান ওই তরুণী। এর পর ৪ এপ্রিল বাড়িতে ফিরে আসেন নির্যাতিতা। বাড়িতে ফিরে নিজের পরিবারকে সবটা খুলে জানান নির্যাতিতা। এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পান্ডিয়াপুর লালপুর পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীর নামে মিসিং রিপোর্ট করা হয়েছিল।
ফিরে আসার পর তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে আটকে রেখে ৭ দিন ধরে ২৩ জন পুরুষ একাধিকবার যৌন নির্যাতন করেছে। বরুণা জোনের ডিসিপি চন্দ্রকান্ত মিনা সোমবার জানান, মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়েছে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সেকশন ৭০(১)গণধর্ষণ, ৭৪ (আউটরেজিং মডেস্টি), ১২৩, ১২৬(২), ১২৭(২), ৩৫১(২) অধীনে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসিপি ক্যান্টমেন্ট জানান, প্রাথমিক তদন্তের পরে ৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।
মায়ের বক্তব্য অনুসারে ২৯ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন নির্যাতিতা। ফেরার পথে অভিযুক্তদের একজনের সঙ্গে মুখোমুখি হয় তাঁর মেয়ে। অভিযুক্ত লঙ্কাতে তাঁর ক্যাফেতে নিয়ে গিয়ে সারারাত ধর্ষণ করে।
এরপর ৩০ তারিখ অন্য এক অভিযুক্ত এবং তাঁর বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয় নির্যাতিতার। তাঁরা তাঁকে জোর করে নিজের বাইকে বসিয়ে হাইওয়েতে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে নাদেসারে ফেলে রেখে দিয়ে যায়।
৩১ তারিখ অন্য ৫ অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে মালদাহিয়ায় এক ক্যাফেতে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ জনে মিলে গণধর্ষণ করে তাঁকে।
এপ্রিলের ১ তারিখে ওই ৫ জনের মধ্যে দুই অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে নিয়ে একটি হোটেলে যায়। সেখানে আগে থেকে আরও ৩ জন উপস্থিত ছিল। সেখানেই এক ক্লাইন্টকে ডেকে আনা হয়। এরই মাঝে অজ্ঞাত পরিচয় কোনও ব্যক্তি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে। এরপর হোটেল থেকে বেরোলে নির্যাতিতাকে জোর করে অন্য একটি হোটেলে নিয়ে যায় আরেক অভিযুক্ত। ধর্ষণ করার পরে বাইরে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।
পরে ওই পাঁচ অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জন ঔরঙ্গাবাদে একটি ওয়্যারহাউসে নিয়ে গিয়ে রাখে নির্যাতিতাকে। সেখানে অন্য আরেক অভিযুক্ত এসে তরুণীকে ধর্ষণ করে। তারপর তরুণীকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আরও ২ জন।
এরপর কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে সিগ্রা মলের সামনে বসেছিলেন। সেখানেই অন্য দুই অভিযুক্ত তাঁকে ড্রাগ মেশানো নুডলস খেতে দেয়। এরপরে তাঁকে ধর্ষণ করে ২ এপ্রিল অসি ঘাটে ফেলে রেখে দিয়ে যায়।
এই ঘটনার পরে এপ্রিলের ৩ তারিখ এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে মাদকদ্রব্যের নেশার কারণে ঘুমিয়ে পড়েন নির্যাতিতা। সন্ধেবেলা ফের অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনের দেখা হয় নির্যাতিতার। তাঁরা ফের তাঁকে এক হোটেলে নিয়ে গিয়ে মাদকদ্রব্য দিয়ে ধর্ষণ করে। চৌকাঘাটে ফেলে রেখে দিয়ে যায়। এরপর এক বন্ধুর বাড়ি হয়ে ৪ তারিখে নিজের বাড়ি ফেরেন নির্যাতিতা।
ডিসিপি জানান, মার্চ মাসের ২৯ তারিখে নিখোঁজ হওয়ার পর ৪ এপ্রিল নির্যাতিতার পরিবার পুলিশে গিয়ে অভিযোগ জানান। সেই দিনেই নির্যাতিতাও বাড়িতে ফিরে আসেন। যদিও এরপরে পরিবারের তরফে আর কিছুই জানানো হয়নি। পরে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কেস রেজিস্টার করা হয় এবং অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের খোঁজে পুলিশের ৩টি দল তদন্ত করছে।





