Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

১০০০ কেজি বিস্ফোরক, ১০০০ কিমি পাল্লা! এবার দিল্লি থেকেই পাক জঙ্গি ঘাঁটিকে টার্গেট করবে ‘ঘাতক’

উরি, পাঠানকোটের বদলা নিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারতীয় সেনা! বেছে বেছে ধ্বংস করা হয়েছে পাক জঙ্গি ঘাঁটিকে। কিন্তু পাকিস্তানের কী তাতে শিক্ষা হয়েছে? উত্তর- না! তাই এবার পাকিস্তানের পরম যত্নে আগলে রাখা জঙ্গি ঘাঁটিকে টার্গেট করতে 'ঘাতক'-কে নামাচ্ছে ভারত।

১০০০ কেজি বিস্ফোরক, ১০০০ কিমি পাল্লা! এবার দিল্লি থেকেই পাক জঙ্গি ঘাঁটিকে টার্গেট করবে 'ঘাতক'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 07, 2025 | 4:05 PM

উরি, পাঠানকোটের বদলা নিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারতীয় সেনা! বেছে বেছে ধ্বংস করা হয়েছে পাক জঙ্গি ঘাঁটিকে। কিন্তু পাকিস্তানের কী তাতে শিক্ষা হয়েছে? উত্তর- না! তাই এবার পাকিস্তানের পরম যত্নে আগলে রাখা জঙ্গি ঘাঁটিকে টার্গেট করতে ‘ঘাতক’-কে নামাচ্ছে ভারত।

ঘাতক-এর নির্মাণের মধ্যে দিয়েই আধুনিকতার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারতীয় বায়ুসেনা। এই নয়া সুপারসনিক আনম্যানড কমব্যাট এরিয়াল ভেহিক্যালের (UCAV) পেটের ভিতর থাকবে ৪ টন বিস্ফোরক। পাইলট লাগবে না, নিজেই উড়তে পারবে এমনই খতরনাক সুপারসনিক যুদ্ধবিমান – ঘাতক। শব্দের চেয়েও দ্রুত যাবে। শত্রুর নজর এড়াতে ব্যবহৃত হচ্ছে স্টেলথ টেকনোলজি।

বায়ুসেনার ঘাতক UCAV-র মোট ওজন হবে ১৩ টন। যার পেটে থাকবে ৪ টন পর্যন্ত বিস্ফোরক। ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষের প্রয়োজনীয়তা ক্রমশ ফুরোচ্ছে। এখন যে দেশের কাছে যত ঘাতক ড্রোন, সেই দেশে যুদ্ধে ততই এগিয়ে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে এই প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলেছে। তাই ভারতীয় বায়ুসেনাও চায় ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে মানুষবিহীন আকাশে ওড়ে এমন বিশালাকারের ড্রোন বানাতে যা একটা যুদ্ধবিমানের সমান বিস্ফোরক বইতে পারবে।

কাল্পনিক ছবি

এখনও পর্যন্ত সেনার যা পরিকল্পনা, ঘাতক UCAV বানাবে DRDO। মূলত যে সব জায়গায় সেনার পক্ষে যাওয়া বিপজ্জনক, যা যে সব শত্রুঘাঁটিতে ব্যাপক নজরদারি চলে, সেই সব জায়গায় হামলা চালাবে ঘাতক UCAV। মাটির সামান্য উপর দিয়ে উড়তে পারবে, ফলে রেডারে ধরা পড়বে না। আকৃতিতেও এমন করা হচ্ছে যাতে বাতাসের সঙ্গে ঘর্ষণজনিত কারণে গতিবেগ না কমে। দুশমনের এয়ার ডিফেন্সের নজর এড়িয়ে তছনছ করে দিতে পারবে জঙ্গিঘাঁটিতে। সেনার পরিকল্পনা, চিনের প্রতি নজর রেখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) ও পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতে লাইন অফ কন্ট্রোল (LOC)-এ মোতায়েন থাকবে ঘাতক।

৪৬-৪৯ কিলোনট ক্ষমতাসম্পন্ন কাবেরী ইঞ্জিনে বলীয়ান হবে ঘাতক। ২০২২-এ নির্মিত রুস্তম সিরিজের ড্রোনের আপগ্রেডেড ভার্সন ঘাতক। স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড ওয়েপন ও স্মল ডায়ামিটার বম্ব নিয়ে উড়বে ঘাতক, টার্গেট করবে শত্রুদের পরম যত্নে আগলে রাখা ঘাঁটিকে। চিনের স্টেলথ ড্রোন GJ-১১, রাশিয়ার S-৭০ ওখটনিকের জবাব হবে ভারতের ঘাতক। উড়তে পারবে ১০০০-১৫০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, নয়াদিল্লিতে বসে টার্গেট করা যাবে পাকিস্তান বা চিনকে। এস-৪০০ এর মতো ডিফেন্স সিস্টেমকেও নাস্তানাবুদ করতে পারবে ঘাতক।