Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

India vs USA: RAW নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ আমেরিকার! ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’, বলে পাল্টা সুর চড়াল নয়াদিল্লি

India vs USA: ভারত ধর্মীয় স্বাধীনতারও অবনতি ঘটেছে বলে দাবি সেই মার্কিন কমিশনের। ইতিমধ্যে মঙ্গলে এমন 'অপমানজনক' রিপোর্টে ক্ষোভ চড়েছে দেশের অন্দরে। আর তারপরেই মার্কিন রিপোর্টের পাল্টা জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি।

India vs USA: RAW নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ আমেরিকার! 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত', বলে পাল্টা সুর চড়াল নয়াদিল্লি
প্রতীকী ছবিImage Credit source: PTI | Facebook
Follow Us:
| Updated on: Mar 26, 2025 | 10:17 PM

নয়াদিল্লি: আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে দেশের অন্দরে চড়ল পারদ। মঙ্গবার এই রিপোর্ট পেশ করেছে সেদেশের ফেডারেল প্রশাসনের অন্তর্গত কমিশন USCIRF। প্রতি বছরই এই রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে তারা। মূলত, বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে আমেরিকার নীতি নির্ধারণে ফেডারেল সরকারকে সুপারিশ করে থাকে এই কমিশন। এবার তাদের নিশানায় ভারত।

কী এমন রিপোর্টে উল্লেখ করল তারা? সেদেশের সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, রিপোর্টে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ (RAW)-কে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ আমেরিকার প্রশাসনের কাছে জমা করেছে এই কমিশন। কিন্তু আমেরিকার ‘কোন পাকা ধানে মই দিয়েছে’ ভারতের গুপ্তচর সংস্থা? রিপোর্টে দাবি, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, খলিস্তানি নেতাদের হত্যার পিছনে হাত রয়েছে RAW-এর।

শুধুই RAW-কে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ দিয়েই কিন্তু ক্ষান্ত হয়নি এই কমিশন। রিপোর্টে তাদের দাবি, গত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল দেশের সংখ্যালঘু প্রসঙ্গে ‘বিভ্রান্তিকর মন্তব্য’ পেশ করেছে। যার জেরে ভারত ধর্মীয় স্বাধীনতারও অবনতি ঘটেছে বলে দাবি সেই মার্কিন কমিশনের। ইতিমধ্যে মঙ্গলে এমন ‘অপমানজনক’ রিপোর্টে ক্ষোভ চড়েছে দেশের অন্দরে। আর তারপরেই মার্কিন রিপোর্টের পাল্টা জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি।

বুধবার এই মার্কিন রিপোর্টকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘ভুয়ো’ বলে কটাক্ষ করেছে বিদেশমন্ত্রক। এদিন এই রিপোর্ট প্রসঙ্গেই তাদের দাবি, ‘আমরা আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশনের রিপোর্ট দেখেছি। এই রিপোর্টে তুলে ধরা তথ্য়গুলি সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভুয়ো।’

বিদেশমন্ত্রকের আরও দাবি, ‘USCIRF-এর রিপোর্টে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে ভুল ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের বহুত্ববাদী সংস্কৃতিকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। যা একটা নির্দিষ্ট অভিসন্ধি নিয়ে করা হয়েছে বলেই ধারণা। ওরা বাস্তবতা থেকে অনেকটাই দূরত্বে রয়েছে।’