Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indian Air Force: দেবী দুর্গার মতো সাজছে ভারতীয় বায়ুসেনা! আমেরিকা দিচ্ছে F-35, রাশিয়া Su-57E

Indian Air Force: সিঙ্গল সিট, ডবল ইঞ্জিন, সব আবহাওয়ায় উড়তে সক্ষম, মাল্টি রোল ফিফ্থ জেনারেশন কমব্যাট এয়ারক্রাফটের যৌথ তদারকি করছে ভারতীয় বায়ু ও নৌসেনা।

Indian Air Force: দেবী দুর্গার মতো সাজছে ভারতীয় বায়ুসেনা! আমেরিকা দিচ্ছে F-35, রাশিয়া Su-57E
রুশ যুদ্ধবিমান সুখোই SU-57
Follow Us:
| Updated on: Feb 21, 2025 | 10:29 AM

দীপেন্দু পাল

শ্রী বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের বিখ্যাত মহালয়ার মহিষাসুরমর্দিনীতে যেমনটা বর্ণিত রয়েছে, “দেবী সজ্জিতা হলেন অপূর্ব রণচণ্ডী মূর্তিতে। হিমাচল দিলেন সিংহবাহন, বিষ্ণু দিলেন চক্র……” সহজে বললে, দেবতারা একে একে অস্ত্র হাতে তুলে দিয়ে মা দুর্গাকে মহাপরাক্রমশালী করে তোলেন মহিষাসুরকে বধ করতে। এবার ঠিক সেই একই কায়দায় ভারতীয় বায়ুসেনা আকাশে অজেয় হতে চলেছে। সৌজন্যে বিশ্বের দুই মহাশক্তিশালী দেশ আমেরিকা ও রাশিয়া। দুই দেশের কাছ থেকেই দুই অপরাজেয় ফিফ্থ জেনারেশন যুদ্ধবিমান পাচ্ছে ভারত। আমেরিকার কাছ থেকে এফ-৩৫ (American F-35) ও রাশিয়ার কাছ থেকে সুখোই এসইউ -৫৭-ই (Sukhoi Su-57E)। এছাড়াও ভারতের হ্যাল (HAL AMCA) তার নিজস্ব প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দেশীয় ফিফ্থ জেনারেশন ফাইটার জেট ‘অ্যামকা’ বা Advanced Medium Combat Aircraft (AMCA) তৈরির কাজও শেষ করে ফেললে পাকিস্তান-বাংলাদেশ তো কোন ছাড়, চিনও এ দেশের দিকে চোখ তুলে তাকাতে দুবার ভাববে।

নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ ও সেই সাক্ষাতের ফলে ভারতীয় বায়ুসেনার ভাঁড়ারে যে এফ-৩৫ আসছে, এ খবর গোটা দেশেরই এখন জানা। এর পাশাপাশি কার্যত লোকচক্ষুর আড়ালে বৃহৎ রুশ ডিফেন্স ম্যানুফ্যাকচারার Rosoboronexport নয়াদিল্লিকে তাদের ফিফ্থ জেনারেশন ফাইটার জেট সুখোই ৫৭-ই বিক্রিরও প্রস্তাব দিয়েছে। আর এই দুই ফিফ্থ জেনারেশন ফাইটার জেটের সঙ্গেই টক্কর দিতে ভারত তৈরি করছে ‘অ্যামকা’। সিঙ্গল সিট, ডবল ইঞ্জিন, সব আবহাওয়ায় উড়তে সক্ষম, মাল্টি রোল ফিফ্থ জেনারেশন কমব্যাট এয়ারক্রাফটের যৌথ তদারকি করছে ভারতীয় বায়ু ও নৌসেনা। আগামী ১০ বছরেরও কম সময়ে এই তিন যুদ্ধবিমানই ভারতীয় বায়ুসেনার ভাঁড়ারে ঢুকে পড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেই কাজও চলছে জোরকদমে।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই তিন যুদ্ধবিমানের কী এমন বিশেষত্ব রয়েছে যে বেজিং পর্যন্ত ভয় পায় এই তিন কমব্যাট এয়ারক্রাফটকে।

মার্কিন যুদ্ধবিমান F-35

১. মার্কিন যুদ্ধবিমান F-35

F-35-এর তিনটি ভেরিয়েন্ট ব্যবহার করে মার্কিনি সেনা। F-35A- এই যুদ্ধবিমানটি স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই রণতরী থেকে ওঠানামা করে। F-35B- স্বল্পদৈর্ঘ্যের রানওয়ে থেকে বা মাটি থেকে সরাসরি উল্লম্বভাবে উড়ে যেতে পারে এবং F-35C মার্কিন নৌসেনার জন্য ভারী অস্ত্র-সহ উড়তে পারে। গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০০০ কিলোমিটার, যা শব্দের চেয়েও দ্রুত। সবচেয়ে উন্নতমানের মারণাস্ত্র, অত্যাধুনিক সেন্সর সিস্টেম নিয়ে এমনভাবে শত্রুর এলাকায় ঢুকে পড়তে পারে যে কাকপক্ষীও টের পাবে না। পোশাকি ভাষায় একে বলে স্টেলথ ক্যাপাবিলিটি (stealth capabilities)।

২. রুশ যুদ্ধবিমান সুখোই SU-57

যুদ্ধের ময়দানে থুড়ি আকাশে, সুখোই পিতামহ ভীষ্মের মতোই সুপরিচিত। রুশ সংস্থা সুখোইয়ের এই টুইন ইঞ্জিন সম্মৃদ্ধ, সবরকমভাবে যুদ্ধে পারদর্শী ফিফ্থ জেনারেশনের স্টেলথ মাল্টিফাইটারটি আকাশ ও ভূমি– দুই জায়গাতেই নিশানা ধ্বংসে তুখোড়। শব্দের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন বেগে ছোটে এই যুদ্ধবিমান, প্রতি ঘণ্টায় ২২০০ কিলোমিটার। সুখোইয়ের গায়ে আটকানো যায় বিধ্বংসী সব অস্ত্র, তাতে গতিবেগ কমে না একচুলও। গতি ও তৎপরতার জন্য যুদ্ধের আকাশে সুখোই বরাবরই অপ্রতিরোধ্য।

হ্যাল অ্যামকা

৩. হ্যাল অ্যামকা (HAL AMCA)

ভারতের জন্য খরচের দিক থেকে সবচেয়ে সাশ্রয়ী দেশীয় প্রযুক্তির ফিফ্থ জেনারেশন ফাইটার জেট ‘অ্যামকা’ বা Advanced Medium Combat Aircraft। ২০৩৫-এর আগেই বাণিজ্যিক উৎপাদনের কাজ শেষ হবে এই যুদ্ধবিমানের যা বায়ুসেনার হাতে একবার এসে গেলে মার্কিন বা রুশ বিমান আর কল্কে পাবে না। এডিএ বা Aeronautical Development Agency (ADA) এই বিমানের নকশা বানিয়েছে যা এই মুহূর্তে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সবচেয়ে গোপনীয় ও বড় প্রকল্প। অ্যামকা মার্ক ১ হবে ফিফথ জেনারেশনের, অ্যামকা মার্ক ২ হবে সিক্সথ জেনারেশনের ফাইটার জেট। বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাসম্পন্ন মাত্র তিনটি দেশ, আমেরিকা-রাশিয়া ও চিনের কাছে রয়েছে ফিফথ জেনারেশনের ফাইটার জেট। ২০৩৫-এর আগে চিনও তাদের ষষ্ঠ বা সিক্সথ জেনারেশনের ফাইটার জেট তৈরি করে উঠতে পারবে না। AMCA হাতে পেয়ে গেলে ভারতীয় বায়ুসেনাকে আকাশে পরাস্ত করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে। আর তাই এই প্রকল্পের কাজ চলছে জোরকদমে। প্রকাশ্যে এসেছে এর প্রোটোটাইপও।