Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Unemployement Rate of India: গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের গ্রাফ নিম্নগামী, বেড়েছে কর্মসংস্থানের হার

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে অত্যধিক মুদ্রাস্ফীতি এবং লক্ষাধিক যুবর কর্মসংস্থান তৈরি করে তাদের চাকরির বাজারে নিয়ে আসা নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

Unemployement Rate of India: গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের গ্রাফ নিম্নগামী, বেড়েছে কর্মসংস্থানের হার
ভারতে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি। প্রতীকি ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 01, 2023 | 10:32 PM

নয়া দিল্লি: নতুন বছরের শুরুতেই গ্রামীণ কর্মসংস্থানের রিপোর্টে স্বস্তি। দেশে বেকারত্বের হার কিছুটা বাড়লেও গ্রামাঞ্চলের নিরিখে সেই গ্রাফ নিম্নমুখী। সম্প্রতি প্রকাশিত সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE)-র রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার প্রায় ২ শতাংশ বাড়লেও গ্রামাঞ্চলে বেশ খানিকটা কমেছে বেকারের সংখ্যা।

CMIE-র রিপোর্ট অনুযায়ী, গত নভেম্বরে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৮ শতাংশ। এক মাসের মধ্যে অর্থাৎ ডিসেম্বরে সেই হার বেড়ে হয়েছে ৮.৩ শতাংশ। শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ৮.৯৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০.০৯ শতাংশ। তবে গ্রামে বেকারত্বের হার গত একমাসে ৭.৫৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭.৪৪ শতাংশ। যা তাৎপর্যপূর্ণ।

দেশের নিরিখে বেকারত্বের হার বাড়লেও ‘যতটা খারাপ মনে হচ্ছে, পরিস্থিতি ততটা খারাপ নয়’ বলেই দাবি CMIE-র কর্ণধার মহেশ ব্যাসের। তিনি জানান, শ্রমিকদের কারখানায় কাজে যোগদানের হার বেড়েছে। ডিসেম্বরে কারখানায় শ্রমিকদের কাজে যোগদানের হার ৪০.৪৮ শতাংশ, যা ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের পর সর্বোচ্চ। তিনি আরও বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ডিসেম্বরে কর্মসংস্থান হার বেড়ে হয়েছে ৩৭.১ শতাংশ, যা ২০২২-এর জানুয়ারি থেকে সর্বোচ্চ।”

যদিও সামগ্রিকভাবে দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধির ঘটনা নতুন বছরে মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়াল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষত, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে অত্যধিক মুদ্রাস্ফীতি এবং লক্ষাধিক যুবর কর্মসংস্থান তৈরি করে তাদের চাকরির বাজারে নিয়ে আসা নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা, গত সেপ্টেম্বর থেকে দেশে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বের হার বৃদ্ধিকে ইস্যু করে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে পথে নেমেছেন খোদ রাহুল গান্ধী। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছেন তিনি। বর্ষশেষের দিনই রাহুল গান্ধী সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার রাস্তা পদযাত্রা সম্পূর্ণ করে দেশের মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, “কর্মসংস্থান তৈরির সঙ্গে জিডিপি বাড়ানো, যুবদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা বাড়ানো এবং রফতানি বাড়ানোর লক্ষ্যে উৎপাদন বাড়ানো ভারতের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত।”

প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (NSO)-এর নভেম্বরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম তিনমাসের তুলনায় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে দেশে বেকারত্বের হার ৭.৬ শতাংশ থেকে কমে ৭.২ শতাংশ হয়েছিল। তারপর নভেম্বরে ফের দেশে বেকারত্বের হার বাড়তে শুরু করে। CMIE-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ডিসেম্বরে বেকারত্বের হার কেবল হরিয়ানায় ৩৭.৪ শতাংশ, রাজস্থানে ২৮.৫ শতাংশ এবং দিল্লিতে ২০.৮ শতাংশ বেড়েছিল। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।