Rat Hole Mining: ৪১ শ্রমিকের প্রাণ বাঁচাতে কেন নিষিদ্ধ র্যাট হোল মাইনিং পদ্ধতিই বেছে নেওয়া হল?
Arnold Dix: অস্ট্রেলিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেসর তথা টানেলিং এক্সপার্ট আর্নল্ড ডিক্স জানান, ভারতের এই র্যাট হোল মাইনিং পদ্ধতি দেখে তিনি একটুও অবাক হননি। ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রাকৃতিক দূষণ হয় বলে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই খনন পদ্ধতি নিষিদ্ধ করলেও, উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল এই খনন পদ্ধতিই।
উত্তরকাশী: নিষিদ্ধ খনন পদ্ধতি। তাই উদ্ধারকাজে এই পদ্ধতি অবলম্বনের কথা দূর-দূরান্তেও ভাবা হয়নি। শেষ অবধি উত্তরকাশীর নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Collapse) আটকে থাকা ৪১ শ্রমিকের প্রাণ বাঁচাল সেই র্যাট হোল মাইনিং (Rat Hole Mining)-ই। শেষ মুহূর্তে ভাবনা, সেই মতো কাজ। খনন শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এসেছে সাফল্য। গর্তের মধ্য়ে পাইপ ঢুকিয়ে, সেখান থেকে নিরাপদে বের করে আনা হয় শ্রমিকদের। ১৭ দিন পর কেন র্যাট হোল মাইনিং পদ্ধতি বেছে নেওয়া হল? এর উত্তরে আন্তর্জাতিক টানেলিং এক্সপার্ট আর্নল্ড ডিক্স (Arnold Dix) জানান, হিমালয় এমনিই ভঙ্গুর। এখনও আকারে বড় হচ্ছে। সেখানেই সুড়ঙ্গে ধস নামার পর একটানা মাটি খনন ও অগার মেশিনের ধাক্কায় মাটি আরও ঝুরঝুরে হতে শুরু করেছিল। সেই কারণেই শেষ ভরসা হিসাবে র্যাট হোল মাইনিং বেছে নেওয়া হয়।
অস্ট্রেলিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেসর তথা টানেলিং এক্সপার্ট আর্নল্ড ডিক্স জানান, ভারতের এই র্যাট হোল মাইনিং পদ্ধতি দেখে তিনি একটুও অবাক হননি। ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রাকৃতিক দূষণ হয় বলে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই খনন পদ্ধতি নিষিদ্ধ করলেও, উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল এই খনন পদ্ধতিই।
উদ্ধারকাজ নিয়ে আর্নল্ড বলেন, “প্রথম থেকেই আমার মত ছিল যে ধীরে ধীরে এগোতে হবে আমাদের। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে সময় নিয়ে ও সতর্কভাবে উদ্ধারকাজ চালালে কেউ আহত হবে না। শেষ ১০০ এমএম দূরত্ব হাত দিয়ে মাটি খনন করেই মিশন সফল হয়েছে। এই পদ্ধতি অত্যন্ত জরুরি ছিল কারণ আমরা পাহাড়ে আবার কোনও ধস বা অন্য বিপত্তি তৈরি করত্ চাইনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি বলেছিলাম র্যাট হোল মাইনিং উদ্ধারকাজে মোড় আনবে। আমি এই পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছিলাম কারণ প্রতিদিন চোখের সামনে দেখছিলাম যে বড় বড় মেশিন ব্যবহার করায় পাহাড়ে কী প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। ড্রিলিং মেশিন বা অগার মেশিনে পাহাড়ে কম্পন সৃষ্টি হয়, যা থেকে ধস নামার ঝুঁকি থাকে। একবার উদ্ধারকাজ থামিয়েও দিতে হয়েছিল পাহাড়ে ফাটল ধরার আওয়াজ পেয়ে।”