Bullet Train: ভারতে কবে চালু হচ্ছে বুলেট ট্রেন? বড় আপডেট দিলেন রেলমন্ত্রী
Ashwini Vaishnaw: রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, করোনাকালের আগের সময়ের তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা অনেক বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে ১৭৬৮টি মেইল/এক্সপ্রেস সার্ভিস ছিল, সেখানেই বর্তমানে ২১২৪টি এক্সপ্রেস ট্রেন চলে। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সংখ্যা ২৭৯২ থেকে বাড়িয়ে ২৮৫৬ করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের ট্রেন হল বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। চিন, জাপানে রয়েছে এই ট্রেন। ভারতেও এই ট্রেন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিল মোদী সরকার। এবার বুলেট ট্রেন নিয়ে বড় আপডেট মিলল। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বুধবার জানালেন, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যেই ভারতে প্রথম বুলেট ট্রেন চালু হয়ে যাবে। পাশাপাশি দেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্ককে আরও মজবুত করতে একাধিক পরিকল্পনার ঘোষণাও করেন তিনি। কথা বলেন কবচ সিস্টেম নিয়ে।
বুধবার কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী জানান, দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন চলবে গুজরাটে। বিলমোরা থেকে সুরাট অবধি ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ আগামী ২০২৬ সালে অগস্ট মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। তিনি জানান, বুলেট ট্রেন ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কে আমূল পরিবর্তন আনবে। পাশাপাশি রেল দুর্ঘটনা এড়াতে মজবুত করা হচ্ছে কবচ সিস্টেম, যা মুখোমুখি রেল সংঘর্ষ আটকে দেবে। একইসঙ্গে কাজ চলছে গজরাজ সিস্টেম নিয়েও। ভারতীয় রেলের তরফে এই প্রযুক্তি আনা হচ্ছে হাতির সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষ রুখতে। দেশের আরও বিভিন্ন প্রান্তে নতুন রেল নেটওয়ার্ক তৈরির কথাও বলেন রেলমন্ত্রী।
Progress of Bullet Train project:
Till date: 21.11.2023 Pillars: 251.40 Km Elevated super-structure: 103.24 Km pic.twitter.com/SKc8xmGnq2
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) November 23, 2023
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, করোনাকালের আগের সময়ের তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা অনেক বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে ১৭৬৮টি মেইল/এক্সপ্রেস সার্ভিস ছিল, সেখানেই বর্তমানে ২১২৪টি এক্সপ্রেস ট্রেন চলে। শহরতলিতেও ট্রেনের সংখ্যা ৫২২৬ থেকে বাড়িয় ৫৭৭৪ করা হয়েছে। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সংখ্যা ২৭৯২ থেকে বাড়িয়ে ২৮৫৬ করা হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতীয় রেলমোট ৬৪০ কোটি যাত্রীকে পরিষেবা দিয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৭৫০ কোটি যাত্রীকে পরিষেবা দেওয়াই লক্ষ্য বলে জানান রেলমন্ত্রী। বুলেট ট্রেন প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ১০০ কিলোমিটার রেলপথের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ২৩০ কিলোমিটার পথে কাজ চলছে।