বন্ধ করতে হবে হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট, টুইটারের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে কেন্দ্র

উস্কানিমূলক টুইট করা হচ্ছে বলে আগেই সংস্থাকে তালিকা ধরিয়েছে কেন্দ্র

বন্ধ করতে হবে হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট, টুইটারের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে কেন্দ্র
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 11, 2021 | 2:25 AM

নয়াদিল্লি: গত কয়েকদিনে টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা একে একে টুইটার ছেড়ে ভারতীয় অ্যাপ ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন। একাধিক টুইটার হ্যান্ডেল ব্লক করার নির্দেশিকা আগেই দিয়েছিল কেন্দ্র। এরই মধ্যে জল্পনা বাড়িয়েছে টুইটারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক মহিমা কাউলের পদত্যাগ। বুধবার সেই টুইটারের আধিকারিকদের সঙ্গেই জরুরি বৈঠকে বসল কেন্দ্র। সন্ধে সাড়ে ৭ টা থেকে শুরু হয়েছে বৈঠক।

এ দিন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন টুইটারের আধিকারিকেরা। সম্প্রতি এই মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্ম টুইটারের এক হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে সংস্থাকে। সংস্থার তরফে কোনোরকম সাড়া না পেয়েই সম্ভবত এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।

আরও পড়ুন: তুমি যে ‘হোটেলে’ কে তা জানত! ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই চোখ কপালে নেটিজেনদের

ব্লক বা সাসপেন্ড করার জন্য মোট ১,১৭৮ টি টুইটার অ্যাকাউন্টের তালিকা তৈরি করে কেন্দ্র। এই সব অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে খালিস্তানি ও পাকিস্তানি সমর্থকদের যোগ আছে বলে অভিযোগ। খালিস্তানি ও পাকিস্তানি সমর্থনে ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কৃষক আন্দোলনের পক্ষে টুইট করা হচ্ছে বলে সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফ থেকে এই তালিকা ‘টুইটার’কে দেওয়া হয়েছে। এর আগে আরও ২৫৭ টি টুইটার হ্যান্ডেলের তালিকা দেওয়া হয়েছিল টুইটারকে। সেগুলি প্রাথমিকভাবে ব্লক করা হলেও পরে তা আন-ব্লক করা হয়। বাক-স্বাধীনতার যুক্তি দিয়ে আন-ব্লক করে মাইক্রোব্লগিং সংস্থা ‘টুইটার’। দ্বিতীয়বার অবশ্য, তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৬৯ এ ধারা মেনেই নতুন নোটিস পাঠানো হয়েছে। আর এই নোটিসের ক্ষেত্রে কোনও আইনি নির্দেশ না পাওয়া অবধি অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক বা সাসপেন্ড করতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে Bot automation-এর মত সফটওয়্যার লাগানো আছে, যার মাধ্যমে আপনা থেকেই কিছু টুইট হওয়া সম্ভব। সেভাবেই ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কৃষক আন্দোলনে উস্কানিমূলক কিছু টুইট ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রের।

এদিকে, গত কয়েক ঘণ্টা ধরে নতুন ট্রেন্ড ‘কু’ আ্যাপ। এটি একটি ভারতীয় অ্যাপ। পীযূষ গোয়েল সহ একাধিক মন্ত্রী সেই অ্যাপ ব্যবহার করা শুরু করেছেন।

‘টুইটার’ নিয়ে কেন্দ্রের অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। কয়েকদিন আগেও একাধিক টুইটার হ্যান্ডেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। কৃষকদের গণহত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে, এমন বার্তা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল বেশ কিছু টুইটার হ্যান্ডেলের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে সামনে এসেছিল কয়েকটি প্ররোচনামূলক ‘হ্য়াশট্যাগ’।