মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাতে গিয়ে আটক ঝাঁসির জুনিয়র চিকিৎসকরা, সমালোচনায় মুখর প্রিয়ঙ্কা
কলেজের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ ও জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে যাতে আধিকারিকরা ভাল ব্যবহার করেন, এই তিনটি দাবি জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন চিকিৎসকরা।
ঝাঁসি: নিজেদের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন ঝাঁসির জুনিয়র চিকিৎসকেরা, মাঝপথেই তাঁদের আটক করল পুলিশ। রবিবার ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজের বেশ কয়েকজন নতুন চিকিৎসকেরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনটি দাবি সহ স্মারকলিপি জমা দিতে যান। কিন্তু আগাম অনুমতি না থাকায় তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী একটি জরুরি বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন। সেই বৈঠকে যাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়, সেই কারণেই চিকিৎসকদের বাধা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ঝাঁসির জেলা শাসক অন্ধ্র ভামসি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য চিকিৎসকদের কাছে কোনও অনুমতি ছিল না, এমনকি পূর্ব কোনও পরিকল্পনাও ছিল না। আচমকাই তাঁরা হাজির হন।
চিকিৎসক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ সরবরাহ ও জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে যাতে আধিকারিকরা ভাল ব্যবহার করেন, এই তিনটি দাবি জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন চিকিৎসকরা।
https://fb.watch/5GUhI-gXEs/
পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকদের দাবি মেনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া হলেও জেলাশাসক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। দ্রুত তাঁদের সমস্যার সমাধান করা হবে।
https://www.facebook.com/watch/?v=492089195456590
অন্যদিকে, গোটা ঘটনার সমালোচনা করে উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভঢরা একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “উত্তর প্রদেশ সরকারের নীতি প্রয়োজনের সময় গায়েব থাকে, কিন্তু তারা ভুয়ো প্রচার এবং নির্দোষদের গ্রেফতার করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজেদের দাবি জানাতে যাওয়ায় কিছু রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওনাদের দাবিগুলি কি ভুল? মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল অন্তত একবার ওনাদের কথা শোনা।”
আরও পড়ুন: হর্ষবর্ধনের ধমকে সুর বদল রামদেবের, ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিলেও দাবি আয়ুর্বেদের যোগ্য সম্মানের