Jharkhand: ২৫০০০ ভোল্টের ছোঁয়ায় ঝলসে গেলেন ৬ রেলকর্মী, ধানবাদে ব্যাহত ট্রেন চলাচল
Six railway workers die of electrocution in Dhanbad: ওভার হেড ইকুইপমেন্ট পোল বসাতে গিয়ে ২৫,০০০ ভোল্টের হাই টেনশন ওভারহেড তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল রেলের ৬ ঠিকাকর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৯ মে) সকাল ১১ টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ ঝাড়খণ্ডের গোমো-নিচিতপুর রেললাইনে।
রাঁচি: ওভার হেড ইকুইপমেন্ট পোল বসাতে গিয়ে মৃত্যু হল রেলের ৬ ঠিকাকর্মীর। পোলটি বসাতে গিয়ে ২৫,০০০ ভোল্টের হাই টেনশন ওভারহেড তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুহূর্তে পুড়ে খাক হয়ে যায় ওই ৬ কর্মীর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৯ মে) সকাল ১১ টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ ঝাড়খণ্ডের গোমো-নিচিতপুর রেললাইনে। রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, এদিন ঝাড়খোর গেটের কাছে জনা ১২ কর্মী ওই ওভারহেড ইকুইপমেন্ট পোলটি বসাতে গিয়েছিলেন। এরপরই ঘটে যায় ওই দুর্ঘটনা। রেলের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, “ধানবাদ রেল বিভাগের অন্তর্গত গোমো-নিচিতপুর রেলওয়ে লাইমে একটি ওএইচই পোল বসাতে গিয়ে ৬ ঠিকাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যেকেই ২৫০০০ ভোল্টের হাই-টেনশন ওভারহেড তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।”
রেললাইনে এই ধরনের কাজ হওয়ার সময়, ওভারহেড তারের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকার কথা। তাহলে কী করে ওই ঠিকাকর্মীরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন? ধানবাদ রেল বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, যোগাযোগের অভাবের কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য ওই ঠিকাদার সংস্থাই দায়ী। সাধারণত, যে ঠিকাদার সংস্থাকে ওএইচই পোল বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়, তারা সেই কাজ করতে যাওয়ার আগে রেল বিভাগের কর্তাদের খবর দেয়। তারপর, ওই অংশের ওভারহেড তারের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে রেলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না করেই ওই কর্মীদের কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল। তাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। নিহত ৬ কর্মীর দেহ একেবারে পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পাশাপাশি বাকি কর্মীরাও অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন। বেশ কয়েকজনের দেহের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে।
धनबाद में रेलवे ट्रैक की मरम्मती के दौरान हाईटेंशन तार की चपेट में आने से 6 मजदूरों की मौत हो गई। जानकारी के मुताबिक सभी ठेका कर्मी बिजली के खंभे में कार्य कर रहे थे, इसी दौरान करंट आने से 6 लोगों की झुलसकर मौत हो गई।#Jharkhand #dhanbad pic.twitter.com/K3nWL8ZgSG
— Jharkhand Crime (@jharkhand_crime) May 29, 2023
দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে যান পদস্থ রেলকর্তারা। রেল বিভাগের ডাক্তারদেরও খবর দেওয়া হয়। হতাহতদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধানবাদ থেকে অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ মেডিকেল ভ্যানও নিয়ে আসা হয়। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের দেহে গুরুতর পোড়া জখম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর, ওই লাইনে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি ট্রেনকে ওই রেলগেটের আশপাশের স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। কালকা থেকে হাওড়াগামী নেতাজি এক্সপ্রেসকে আটকে দেওয়া হয় তেঁতুলমারি স্টেশনে। হাওড়া থেকে বিকানেরগামী প্রতাপ এক্সপ্রেস আটকে যায় ধানবাদ স্টেশনে। এই বিষয়ে রেল বিভাগের পক্ষ থেকে বিশদে তদন্ত করা হবে।