Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kashmiri Pandits Killing: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নির্মম হত্যার বিচার চেয়ে ৩২ বছর পর সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল

Kashmiri pandits: সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী এই নয়া পিটিশনে ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা মামলার প্রসঙ্গও টেনেছেন। শিখ দাঙ্গা মামলাতে তিন দশক পরেও রায়দান হয়েছিল।

Kashmiri Pandits Killing: কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নির্মম হত্যার বিচার চেয়ে ৩২ বছর পর সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল
গ্রাফিক্স: টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2022 | 7:12 PM

নয়া দিল্লি: বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) মুক্তির পর থেকে ১৯৯০ সালের নক্কারজনক ঘটনা নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। দেশব্যাপি এই নিয়ে কথাবার্তা চলছে। কেউ দাবী করছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) মর্মান্তিক পরিণতির দন্য দায়ী তৎকালীন ন্যাশানাল কনফারেন্স সরকার, কেউ কেউ আবার পাল্টা যুক্তি দিয়ে সেই দাবি খণ্ডন করছেন। অনেকেই আবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করতে শুরু করেছেন। এই আবহেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একটি সংগঠন ‘রুটস ইন কাশ্মীর’ (Roots In Kashmir)। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Of India) সংগঠনের তরফে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। ১৯৯০ সালে কাশ্মীর উপত্যকায় পণ্ডিতদের ওপর বিচ্ছিন্নতাবাদীরা নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছে, সেই ঘটনা নিয়ে তদন্তের দাবিকে সামনে রেখেই এই পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।

২০১৭ সালে একই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল এই সংগঠন। কিন্তু ‘অনেক দেরি’ হয়ে গিয়েছে, এই যুক্তিতে শীর্ষ আদালত পিটিশন খারিজ করে দেয়। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে বিচারপতি জে এস খেহার এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে ওই পিটিশন দাখিল কার হয়েছিল। পিটিশন খারিজ করে বিচারপতি দ্বয় জানিয়েছিলেন যে, “ঘটনার ২৭ বছর হয়ে গিয়েছে, এখন চাইলেও কোনও প্রমাণ পাওয়া যাবে না। যা ঘটেছিল তা অবশ্যই হৃদয় বিদারক তবে আমরা এখন কোনও নির্দেশ দিতে অপারগ।” শুধুমাত্র তাই নয় সেই বছরই অক্টোবর মাসে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, সেটাও খারিজ করে দেয় আদালত। প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল বিকাশ সিং সংগঠনের হয়ে এই পিটিশন দাখিল করেছে।

সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী এই নয়া পিটিশনে ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা মামলার প্রসঙ্গও টেনেছেন। শিখ দাঙ্গা মামলাতে তিন দশক পরেও রায়দান হয়েছিল। পিটিশনে জানান হয়েছে, “১৯৯০ সালে যে সব অগণিত মানুষ ওই নিকৃষ্ট ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তারা এত বছরে ধরে ধৈর্য ধরে বিচারের অপেক্ষা করছেন। তাদের চিন্তা ভাবনা ও চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।” কাশ্মীর ফাইলস ছবিটিকে নিয়ে দেশজুড়ে এখন আলোচনা চলছে, এবং এই ছবি মুক্তির ফলে জনমানসে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অত্যাচার নিয়ে মতামত তৈরি হয়েছে। তাই ২০১৭ সালে প্রমাণের অভাবের কথা তুলে ধরে পিটিশন খারিজ হলেও বর্তমান পরিস্তিতিতে এই পিটিশন খারিজ করা অত সহজ নয়। এখন শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত কী বলে, সেদিকেই নজর রাখবে সংশ্লিষ্ট মহল।

আরও পড়ুন Hotel Booking Denied: কাশ্মীরে তৈরি আইডি কার্ড কি অবৈধ? হোটেল কর্মীর নাকচের ভিডিয়ো ঘিরে হইচই