দিগন্তে আশার আলো, এবার কি নিপাহ ভাইরাসের টিকা তৈরি করবে ICMR?
Nipah virus antibody: এই ভাইরাসঘটিত রোগে মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি। আসলে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনও টিকা নেই। যেগুলি রয়েছে, সেগুলির লাইসেন্স নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে সেগুলি নিয়ে। এবার, এই ক্ষেত্রে নতুন আশার আলো দেখা গেল।
কোঝিকোড়: কেরলে প্রায় প্রতি বছরই ঘুরে ঘুরে আসছে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। সাধারণভাবে ফল খাওয়া বাদুড়দের শরীর থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে মানুষের দেহে। বাংলাদেশেও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গুরুতর আকার ধারণ করেছে নিপাহ। ১৯৯৮ সালে মালয়শিয়ায় প্রথম এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। মালয়শিয়ার সুঙ্গাই নিপাহ গ্রামে প্রথম এই রোগ ধরা পড়েছিল বলেই, এই ভাইরাসের নাম হয়েছে নিপাহ। এই ভাইরাসঘটিত রোগে মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি। আসলে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনও টিকা নেই। যেগুলি রয়েছে, সেগুলির লাইসেন্স নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে সেগুলি নিয়ে। এবার, এই ক্ষেত্রে নতুন আশার আলো দেখা গেল।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর (ICMR) জানিয়েছে, কেরলের উত্তর কোঝিকোড় জেলার মারুথনকারা থেকে সংগৃহীত বাদুড়ের নমুনায় নিপাহ ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে। আর অ্যান্টিবডি পাওয়ার অর্থ, টিকা তৈরি হওয়া এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
বৃহস্পতিবার, কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে ইমেইল করে রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে, কোঝিকোড়ের বাদুড়ের নমুনা থেকে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে। বীণা জর্জ বলেন, “আমরা এই বিষয়ে আইসিএমআর-এর কাছ থেকে একটি ইমেইল পেয়েছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, সংগৃহীত বাদুড়ের নমুনায় অ্যান্টিবডি উপস্থিত ছিল।”
কোঝিকোড়ের মারুথনকারাতেই গত মাসে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণে দুই ব্যক্তির প্রাণ গিয়েছিল। জেলায় মোট ছয়জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সম্প্রতি কোঝিকোড়ে নিপাহ-আক্রান্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন আইসিএমআর-এর একটি দল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাঁর সেখান থেকে বাদুড়ের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। সেই নমুনা থেকেই নিপাহ ভাইরসের অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিএমআর।
এর আগে বীনা জর্জ জানিয়েছিলেন, রাজ্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সময়মতো এবং কার্যকর পদক্ষেপ করায়, নিপাহ মহামারির চতুর্থ পর্যায়ে মৃত্যুর হার ৩৩ শতাংশে নেমে এসেছে। কোঝিকোড়ে নিপাহ আক্রান্ত যে ৪ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তার মধ্যে এক নয় বছরের শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছ কেরলের স্বাস্থ্য বিভাগ।