Madras High Court: ‘মোবাইলে পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করা অপরাধ নয়’, তবে শিশুদের ‘নেশা’ নিয়ে উদ্বেগ হাইকোর্টের
Madras High Court: বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশ রায়ে উল্লেখ করেছেন, আইটি অ্যাক্ট-এর ৬৭ বি ধারায় বলা হয়েছে, অভিযুক্ত যদি শিশুদের যৌনতা সংক্রান্ত কোনও কিছু নিজে কোথাও প্রকাশ করে, কারও সঙ্গে আদান-প্রদান করে বা নিজে তৈরি করে, তবেই তা অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
চেন্নাই: শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নয়, শিশু-কিশোরদের মধ্যেও বাড়ছে পর্নোগ্রাফি দেখা প্রবণতা। সহজেই নেশাও হয়ে যাচ্ছে তাদের। এই নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষেণ এই সব ক্ষেত্রে শিশুকে শাস্তি না দিয়ে সঠিক পাঠ দিতে হবে। সমাজের আরও বেশি পরিণত হওয়ার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মোবাইলে ডাউনলোড করে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলাতেই এই পর্যবেক্ষণ আদালতের। তবে ২৮ বছরের ওই যুবক মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। আদালত জানিয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে অনুযায়ী, নিজের মোবাইলে ডাউনলোড করে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না।
বিচারপতি এন আনন্দ ভেঙ্কটেশ রায়ে উল্লেখ করেছেন, আইটি অ্যাক্ট-এর ৬৭ বি ধারায় বলা হয়েছে, অভিযুক্ত যদি শিশুদের যৌনতা সংক্রান্ত কোনও কিছু নিজে কোথাও প্রকাশ করে, কারও সঙ্গে আদান-প্রদান করে বা নিজে তৈরি করে, তবেই তা অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়। তবে আইন অনুসারে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখা কোনও অপরাধ নয়। এই মামলার ক্ষেত্রে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই কনটেন্ট কোথাও নিজে প্রকাশ করেননি বা কাউকে দেননি বলে উল্লেখ করেছে আদালত। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর মোবাইলে দুটি ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে।
শুনানিতে শিশুদের পর্নোগ্রাফি দেখার নেশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ কে বিচারপতি বলেন, এর ফলে কিশোর-কিশোরীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রভাবিত হয়। বিচারপতি বলেন, “এই নেশা থেকে মুক্ত করার জন্য শাস্তি না দিয়ে সঠিক উপদেশ দিতে হবে, তাদের বোঝাতে হবে।” স্কুল থেকেই এই ধরনের নেশার সূত্রপাত হয় বলে মনে করেন তিনি।
এই মামলাতেও অভিযুক্তকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি কাউন্সেলিং করান। আদালতের পর্যবেক্ষণ, আইনই সব নয়, এই নেশা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে নিজেকেই। বিচারপতি আরও উল্লেখ করেছেন যে, নেশা অনেক কিছুতেই হতে পারে। তবে যৌনতা যেহেতু একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, তাই এই নেশায় জড়িয়ে পড়া সহজ।