Murder Case: পর্ন দেখে ছেলে! জানতে পেরেই বিষ খাইয়ে মেরে দিল বাবা…

Crime News: ছেলে পড়াশোনা করে না, এই নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন বিজয়। ফোনে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখত ছেলে। একদিন হাতেনাতে ধরেন তিনি, প্রচন্ড বকাবকি করেন। কিন্তু ছেলের কানে কোনও কথাই যায় না। এরপর একদিন স্কুল থেকে অভিযোগ আসে যে ছেলে সহপাঠী কিশোরীকে ইভটিজিং করেছে। 

Murder Case: পর্ন দেখে ছেলে! জানতে পেরেই বিষ খাইয়ে মেরে দিল বাবা...
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Feb 02, 2024 | 11:05 AM

মুম্বই: কৈশোরে পা দিয়েছে ছেলে, বুঝতে শিখছে অনেক কিছুই। মোবাইলে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে ‘বড়দের ভিডিয়ো’। আর সেই কথা জানতে পেরেই রাগ বাবার। ছেলেকে বারবার সতর্ক করেছিলেন, বলেছিলেন শুধরে যেতে। এমন সময়ই একদিন স্কুল থেকে এল ডাক। ছেলের বিরুদ্ধে নালিশ শুনে ক্ষাপ্পা বাবা। রেগে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন। বিষ খাইয়ে মেরে ফেললেন একমাত্র সন্তানকে।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে। এক মাস আগে এই কাণ্ড ঘটান ব্যক্তি। সম্প্রতিই তদন্তে আসল তথ্য উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বিজয় বাট্টু নামক ওই ব্যক্তিকে।

কীভাবে ছেলেকে খুন করলেন বাবা?

গত ১৩ জানুয়ারি বিজয় নামক ওই ব্যক্তি পুলিশে ছেলের নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। পুলিশ তল্লাশি শুরু করার কয়েক ঘণ্টা পরেই বিশাল নামক ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্ত করা হলে, তার শরীরে বিষের অস্তিত পাওয়া যায়। এরপরই খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জেরায় কোনও তদন্ত জানা না গেলেও, কিশোরের বাবাকে চাপ দিতেই ভেঙে পড়েন। স্বীকার করেন যে তিনিই ছেলেকে খুন করেছেন।

জেরায় জানা যায়, ছেলে পড়াশোনা করে না, এই নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন বিজয়। ফোনে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখত ছেলে। একদিন হাতেনাতে ধরেন তিনি, প্রচন্ড বকাবকি করেন। কিন্তু ছেলের কানে কোনও কথাই যায় না। এরপর একদিন স্কুল থেকে অভিযোগ আসে যে ছেলে সহপাঠী কিশোরীকে ইভটিজিং করেছে।

ছেলের এই আচরণে বিরক্ত হয়েই তাঁকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই ব্যক্তি। গত ১৩ জানুয়ারি ওই ব্যক্তি ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাস্তায় কোল্ড ড্রিঙ্কস কেনেন, তারমধ্যে বিষ মিশিয়ে দেন।  ছেলে ওই পানীয় পান করার কিছুক্ষণ বাদেই সংজ্ঞা হারায়। রাস্তার ধারে ছেলের দেহ ফেলে রেখে বাড়ি চলে আসেন তিনি। বিকেলে ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী স্থানীয় থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু বিশালের দেহ তাড়াতাড়িই উদ্ধার হয়ে যাওয়ায় ওই ব্যক্তির পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।