Nabanna: চাকরি বাতিলের সুপ্রিম নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি অ্যাকশনে নবান্ন! কোন বড় পদক্ষেপ?
Nabanna: শিক্ষাসচিব বলেন, "আমরা দ্রুত বসছি সকলে, কোর্টের কী অর্ডার রয়েছে, সেটা গোটাটা ভালো করে দেখা হবে। এরপর পরবর্তী কী পদক্ষেপ করা হবে, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।"

কলকাতা: ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের সুপ্রিম নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি অ্যাকশনে নবান্ন। জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ করা হবে, TV9 বাংলাকে এক্সক্লুসিভলি জানালেন শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার।
শিক্ষাসচিব বলেন, “আমরা দ্রুত বসছি সকলে, কোর্টের কী অর্ডার রয়েছে, সেটা গোটাটা ভালো করে দেখা হবে। এরপর পরবর্তী কী পদক্ষেপ করা হবে, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।” ‘ফ্রেশ সিকেকশন প্রসেস’ নিয়ে শিক্ষাসচিব বলেন, “এটা আমার পক্ষে এখনই বলাটা কঠিন। টিমের সঙ্গে বসতে হবে। নির্দেশনামা ভাল করে পড়তে হবে। তারপরই বলতে পারব।”
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই রায় পুনরায় বিবেচনা করার মতো সুযোগ আছে। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে হবে। সব দিক থেকে বিচার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে আরও বড় বেঞ্চে গেলে হয়তো পুনরায় বিবেচনা হবেন। পুরো রায় না দেখে মন্তব্য করব না।”
২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কারচুপি করা হয়েছে। কোনওভাবেই যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে সম্পূর্ণ নতুন একটি সিলেকশন প্রসেস হবে, তা তিন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে। এই তিন মাসের মধ্যে যাঁরা বৈধ, তাঁরা যে বিভাগে কাজ করতেন, সেখানে তাঁরা চাকরি চালিয়ে যাবেন। তাঁরা তিন মাস ধরে বেতনও পাবেন। কিন্তু কারা যোগ্য কিংবা অযোগ্য? উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অযোগ্যদের তিনটে ক্যাটাগরি করে দেওয়া হয়েছে। কারা কারা ব্ল্যাঙ্ক OMR শিট জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করা রয়েছে। এছাড়াও আরও অনেকেই অযোগ্য থাকতে পারেন, তাঁদের বাছাই সম্পূর্ণরূপে এখনও করা সম্ভব হয়নি। এই নির্দেশ একেবারেই অপারেটিভ পার্ট। বিস্তারিত নির্দেশনামা সামনে না এলে আদৌ এই ‘ফ্রেশ সিলেকশন’-এ কারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন, কোন রূপরেখার ভিত্তিতে তা নির্ধারিত হবে, তা স্পষ্ট নয়।





