India-Bangladesh: আসলে কে অভিভাবক, ইউনূসকে ভাল করে বুঝিয়ে দিলেন এস জয়শঙ্কর
India-Bangladesh: নিজেদের 'সমুদ্রের অভিভাবক' হিসাবেও আজব দাবি করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী। ভারতও ছেড়ে কথা বলেনি। ইউনূসের এই মন্তব্যের চাঁচাছোলা জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে কার অধিকার কতটা, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী।

নয়া দিল্লি: বাংলাদেশের অসাড় আস্ফালন। আত্ম-মূল্যায়নের চরম ঘাটতি। এসবের থেকেই উত্তর-পূর্ব ভারতকে ‘বদ্ধ এলাকা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। তাঁর দাবি ছিল, উত্তর-পূর্বের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই বাংলাদেশ ছাড়া। নিজেদের ‘সমুদ্রের অভিভাবক’ হিসাবেও আজব দাবি করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী। চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে ইউনূসের এমন উদ্ভট, বেআক্কেলে মন্তব্য়ে ভারতও ছেড়ে কথা বলেনি। ইউনূসের এই মন্তব্যের চাঁচাছোলা জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে কার অধিকার কতটা, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী।
এ দিন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “বঙ্গোপসাগরে আমাদের সবথেকে দীর্ঘ উপকূল এলাকা রয়েছে, যার আয়তন প্রায় ৬৫০০ কিলোমিটার। ভারত শুধুমাত্র BIMSTEC-র পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সীমান্তই ভাগ করে না, তাদের সংযুক্ত করে এবং ভারতীয় উপমহাদেশ ও এশিয়ান অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিকে সড়ক, রেলপথ, জলপথ, গ্রিড এবং পাইপলাইনের অসংখ্য নেটওয়ার্ক দিয়ে সংযুক্ত করে।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতিই চিন সফরে গিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস বলেছিলেন যে ভারতের উত্তর-পূর্ব ‘বদ্ধ এলাকা’, তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও পথ নেই। এই অঞ্চলে সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক বলে দাবি করেছিলেন। সেই অভিভাবকত্ব ফলিয়েই বেজিংকে অনুরোধ করেছিলেন বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি করতে।
ইউনূসের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াতেই এ দিন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “বৃহত্তর ভৌগলিক অবস্থানে পণ্য়, পরিষেবা ও মানুষের সুষ্ঠ প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা ও পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভৌগলিক স্ট্রাটেজি মাথায় রেখেই আমরা বিগত এক দশক ধরে BIMSTEC-কে শক্তিশালী ও মজবুত করছি। আমরা বিশ্বাস করি যে সহযোগিতা সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি, বাছাই করার বিষয় নয়।”
উল্লেখ্য, ইউনূসের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি এই মন্তব্যকে অবমাননাকর বলেই উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “মহম্মদ ইউনূসের এই ধরনের উসকানিমূলক বিবৃতিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, কারণ এটা দীর্ঘস্থায়ী এজেন্ডা ও গভীর কৌশলগত বিবেচনাকে প্রতিফলিত করে।”
মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংও ইউনূসের মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন যে উত্তর-পূর্ব ভারতকে কৌশলগত টোপ হিসাবে ব্যবহার করছেন। ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ইউনূসের এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা নিয়েও সতর্ক করেন।





