Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘মমতা’হীন মুখ্যমন্ত্রী-বৈঠক মোদীর, এলেন না যোগীও

বিজেপির হয়ে অসম ও পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার প্রচার করছেন যোগী আদিত্যনাথ। নরেন্দ্র মোদীর ডাকা এই বৈঠকে ছিলেন না তিনিও।

'মমতা'হীন মুখ্যমন্ত্রী-বৈঠক মোদীর, এলেন না যোগীও
গ্রাফিক্স- অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Updated on: Mar 17, 2021 | 5:38 PM

নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখে এ কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। করোনা রুখতে লকডাউন, নৈশ কার্ফুর পথে হেঁটেছে একের পর এক দেশ। সংক্রমণের গতি রুখতে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত ৩ মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিন নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকে ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও ছত্তিশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও। জানা গিয়েছে, একের পর এক নির্বাচনী প্রচার থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠকে থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরিবর্তে নরেন্দ্র মোদীর করোনা বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।

বিজেপির হয়ে অসম ও পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার প্রচার করছেন যোগী আদিত্যনাথ। নরেন্দ্র মোদীর ডাকা এই বৈঠকে ছিলেন না তিনিও। দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বৃ্দ্ধি পাচ্ছে মূলত ৫ রাজ্যে। সেই পাঁচ রাজ্য হল মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগঢ়, কেরল ও গুজরাট। করোনা বিধ্বস্ত ছত্তিশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও অনুপস্থিত ছিলেন এ দিনের বৈঠকে।

এ দিন অসমে বিজেপির প্রচারে গিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। টুইট করে সে কথা জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ে অনুপস্থিতি তুলে ধরে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়েননি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। টুইট করে তিনি লিখেছেন, “সরকার কখনওই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের গুরুত্ব নয়। কেন্দ্রের সঙ্গে সব সময় তিনি অসহযোগিতা করে এসেছেন।” কী করে একজন মুখ্যমন্ত্রী করোনা মহামারী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক এড়িয়ে যেতে পারেন, সে নিয়েও প্রশ্ন ছুড়ে দেন অমিত মালব্য।

এ দিন সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একাধিক পরামর্শ দেন। আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা বৃদ্ধি-সহ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে করোনার মিউটেশন নিয়েও সতর্ক হতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিজেদের রাজ্যে সংক্রমিত হওয়া স্ট্রেন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।” পাশাপাশি ভ্যাকসিনের অপচয় নিয়েও রাজ্য়গুলিকে বাড়তি সতর্ক হতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ছোটা রাজনকে ১০ বছরের সশ্রম সাজা দিল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত