Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Delhi Hotel: আবু ধাবির রাজপরিবারের কর্মী পরিচয়ে পাঁচতারা হোটেলে চারমাস বাস, ২৩ লক্ষ টাকা বিল করে উধাও

শুধু হোটেলের কয়েক লক্ষ টাকা বিল করে উধাও হয়ে যাওয়া নয়, বেশ কিছু দামি সামগ্রীও তিনি চুরি করে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ।

Delhi Hotel: আবু ধাবির রাজপরিবারের কর্মী পরিচয়ে পাঁচতারা হোটেলে চারমাস বাস, ২৩ লক্ষ টাকা বিল করে উধাও
প্রতীকি ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2023 | 1:05 AM

নয়া দিল্লি: আবু ধাবির রাজপরিবারের কর্মী বলে নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন। সেই পরিচয়ের ভিত্তিতে চার মাস ধরে দিল্লির বিলাসবহুল হোটেলে ছিলেন। সেখানে থাকা খাওয়া মিলিয়ে মোট বিল হয়েছিল প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা। তারপর সেই বিল বকেয়া রেখেই উধাও হয়ে গেলেন আবু ধাবির ‘রাজপরিবারের ওই কর্মী।’ শুধু হোটেলের কয়েক লক্ষ টাকা বিল করে উধাও হয়ে যাওয়া নয়, বেশ কিছু দামি সামগ্রীও তিনি চুরি করে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। অগত্যা তাঁর খোঁজ পেতে এখন দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে ওই পাঁচতারা বিলাসবহুল হোটেল কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ জানায়, আবু ধাবির রাজপরিবারের কর্মী হিসাবে পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ শরিফ। গত ১ অগাস্ট থেকে দিল্লির লীলা প্যালেস হোটেলের ৮২৭ নম্বর ঘরে ছিলেন তিনি। তারপর গত ২০ নভেম্বর থেকে বেপাত্তা হয়ে যান শরিফ। হোটেল কর্মীদের অভিযোগ, রুমে থাকা সিলভারের বাসন, মুক্তোর ট্রে-সহ অনেক জিনিসই চুরি গিয়েছে।

হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মহম্মদ শরিফ নিজেকে সংযুক্ত আরব আমির শাহির বাসিন্দা এবং আবু ধাবির রাজ পরিবারের সুলতানের ছেলে শেখ ফালাহ বিন জায়েদ আল নাহেনের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী বলে জানিয়েছেন। তিনি শেখ ফালাহ বিন জায়েদের ব্যক্তিগত কর্মী হিসেবে কাজ করতেন এবং ভারতে তাঁরই ব্যবসায়িক কাজের জন্য এসেছেন বলে দাবি জানান। কেবল মৌখিক দাবি নয়, একটা বিজনেজ কার্ড, আরব আমীর শাহির বাসিন্দার পরিচয়পত্র সহ বনিজস্ব দাবি মোতাবেক অন্যান্য নথিও হোটেলে জমা দিয়েছিলেন। এমনকি তিনি নিয়মিতভাবে হোটেলের কর্মীদের সঙ্গে সৌদি আরবে তাঁর জীবনযাপনের গল্প করতেন। আগন্তুকের এহেন আচরণের ফলে তাঁকে নিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের কোনও সন্দেহ হয়নি এবং বিল বকেয়া থাকা সত্ত্বেও তাঁকে থাকতে দিয়েছিলেন লীলা প্যালেস কর্তৃপক্ষ।

হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ শরীফের বিগত চার মাসের হোটেলে থাকার কেবল ঘর ভাড়া হয়েছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে তিনি মাত্র সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা শোধ করেছিলেন এবং বাকি টাকা হোটেল ছাড়ার সময় দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তারপর ২০ নভেম্বর উধাও হয়ে যাওয়ার দিন তিনি হোটেলকর্মীকে ২০ লক্ষ টাকার একটি চেকও দিয়েছিলেন।

যদিও আরব আমীর শাহির বাসিন্দার পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির দেওয়া সমস্ত নথি ভুয়ো ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে পুলিশ। তবে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে তাঁর খোঁজ শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।