পিপিই কিট পরে এগিয়ে যাচ্ছে কেউ, সামনে এল চাঞ্চল্যকর ফুটেজ

২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে মুকেশ অম্বানীর (Mukesh Ambani) বাসভবন অ্যান্টিলিয়ার (Antilia) কাছেই একটি পরিত্যক্ত স্করপিও উদ্ধার করা হয়। গাড়িটির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় ২৫টি জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর।

পিপিই কিট পরে এগিয়ে যাচ্ছে কেউ, সামনে এল চাঞ্চল্যকর ফুটেজ
পরিচয় ঢাকতেই পিপিই কিট বলে অনুমান পুলিশের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 09, 2021 | 4:15 PM

মুম্বই: মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধার হয় দিন কয়েক আগেই। গাড়ি থেকে পাওয়া যায় ২০টি জিলেটিন স্টিক। ইতিমধ্যেই এনআইএ (NIA) নিজের হাতে সেই ঘটনার তদন্তভার তুলে নেয়। এবার সামনে এল ওই দিনের আরও এক সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV)।

মুকেশ অম্বানীর বাড়ি “অ্যান্টিলিয়া”(Antilia)-র সামনে থেকে ওই পরিত্যক্ত গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এবার যে সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে পিপিই কিট পরে হেঁটে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। পুলিশের অনুমান পরিচয় লুকোতেই এভাবে পিপিই কিটে নিজেকে ঢেকে রেখেছে এই ব্যক্তি। পিপিই কিট পরিহিত এই ব্যক্তিই অম্বানীর বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই ওই গাড়ি রেখে গিয়েছিল বলে জানাচ্ছে পুলিশ।

এর আগে পুলিশ আরও জানিয়েছিল যে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই গাড়িটি আইরোলি-মুলুন্দ সেতু থেকে চুরি করেছিল কেউ বা কারা। গাড়ির মালিক গাড়িটি শেষবার ব্যবহার করেন ১৮ ফেব্রুয়ারির আগে। ইতিমধ্যেই মনসুখ হিরেন নামে সেই ব্যক্তি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করার পর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ফুটেজে দেখা যায় “অ্যান্টিলিয়া”-র সামনে গাড়িটি রেখে একটি ইনোভায় চেপে চলে যায় অভিযুক্ত।

এ দিকে এই ঘটনার তদন্ত নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। এনআইএ নিজের হাতে সেই ঘটনার তদন্তভার নেওয়ার পর মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ সোমবারই বিধানসভায় বলেন, “অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উদ্ধার ও গাড়িমালিকের রহস্যজনক মৃত্যুর মামলা সমাধান করার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্য পুলিশের।”

২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে মুকেশ অম্বানীর বাসভবন অ্যান্টিলিয়ার কাছেই একটি পরিত্যক্ত স্করপিও উদ্ধার করা হয়। গাড়িটির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় ২৫টি জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর। উদ্ধার হয় একটি হুমকি চিঠিও। এরপরই তদন্তে নামে মুম্বই পুলিশ। কয়েক দিন পরই মনসুখ হিরেনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরইমাঝে বিস্ফোরণের ছকের দায়ভার স্বীকার করে নেয় জঙ্গি সংগঠন জইশ-উল-হিন্দ। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণভাবে মানতে নারাজ পুলিশ।