Narendra Modi: কৃষকদের মুখোমুখি হবেন মোদী, কথা হবে প্রাকৃতিক চাষ-আবাদ নিয়ে

Narendra Modi: কৃষকদের কল্যাণ ও তাঁদের আয় বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলবেন তিনি।

Narendra Modi: কৃষকদের মুখোমুখি হবেন মোদী, কথা হবে প্রাকৃতিক চাষ-আবাদ নিয়ে
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2021 | 10:48 PM

নয়া দিল্লি : সদ্য কৃষকেরা আন্দোলনে ইতি টেনেছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন তুলে নেওয়ার ঘোষণা করার পরই এই সিদ্ধান্ত নেন কৃষকেরা। এবার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১৬ ডিসেম্বর ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবেন মোদী। প্রাকৃতিক কৃষিকাজের ওপরেই জোর দেওয়ার জন্য তিনি আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, কৃষকদেক সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষকদের কল্যাণ ও তাঁদের আয় বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের আনন্দের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। প্রাকৃতিক চাষ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কৃষকরা তাঁদের সুবিধে অসুবিধের কথা জানাতে পারবেন মোদীকে। একই সঙ্গে তাঁদেরও প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হবে।

কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। উৎপাদন বাড়াতে তাঁদের সবরকম সহযোগিতা করা হবে। জিরো বাজেটে নেচার ফার্মিং আগামিদিনে বিশেষ জনপ্রিয়াতা লাভ করবে বলে মনে করা হয়। এই জাতীয় চাষ সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে দেয়া হবে কৃষকদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ জাতীয় ব্যবস্থা কৃষকদের প্রযুক্তি নির্ভরতা কমিয়ে দেবে, চাষের খরচও কমিয়ে দেবে, পাশাপাশি মাটিরও উন্নতি করবে।

প্রাকৃতিক চাষের ওপর জোর দেওয়ার জন্য গুজরাট সরকার কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে জাতীয় শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ১৪ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে এই সম্মেলন। চলবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিন দিনের অনুষ্ঠানের শেষ দিনেই ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে ৫০০ জনেরও বেশি কৃষক অংশ গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে আন্দোলন চালানোর পর অবশেষে কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত শনিবার থেকেই দিল্লির তিন সীমান্ত- সিংঘু, গাজিপুর ও টিকরি সীমান্ত থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।

তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গতবছরের নভেম্বর মাস থেকে দিল্লির সীমান্তে আন্দোলন শুরু করেছিল পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ দেশের একাধিক প্রান্তের কৃষকরা। কেন্দ্রের তরফে একাধিকবার আলোচনা বসলেও, কোনও প্রস্তাবেই রাজি হয়নি আন্দোলনকারী কৃষকরা। অবশেষে আন্দোলনকারী কৃষকদের কথা ভেবেই গত ১৯ নভেম্বর আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই এই আইন প্রত্যাহারের বিল পাশ হয়ে যায়।

তবে আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পরও আন্দোলন প্রত্যাহার করেনি কৃষকরা। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টি সহ একাধিক দাবি জানায় তারা। এরপরই কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয় এমএসপি কমিটি গঠনের। এই কমিটিতে সরকার ও কৃষক পক্ষের প্রতিনিধিরা ছাড়াও কৃষি বিশারদ, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের দাবিও কেন্দ্র মেনে নিলে, আন্দোলন প্রত্য়াহারের কথা ঘোষণা করে কৃষক সংগঠনগুলি।

আরও পড়ুন : Pfizer COVID Pills: ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও কার্যকর ফাইজ়ারের তৈরি করোনা ওষুধ, দাবি সংস্থার