Lakhimpur: গাফিলতিতে মৃত্যু নয়, খুনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র; বলছে লখিমপুরের বিশেষ তদন্তকারী দল
SIT probing Lakhimpur: লখিমপুর খেরির ঘটনায় কৃষকদের মৃত্যু কোনও গাফিলতির কারণে হয়নি। খুনের উদ্দেশ্যে এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল।
লখনউ : লখিমপুর খেরির ঘটনায় কৃষকদের মৃত্যু কোনও গাফিলতির কারণে হয়নি। খুনের উদ্দেশ্যে এক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল। আশিস মিশ্র এবং অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগগুলি সংশোধন করা উচিত বলেও বিচারককে লিখেছেন মামলার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। তদন্তকারী দলের বক্তব্য, খুনের চেষ্টার অভিযোগ এবং স্বেচ্ছায় আঘাত করার অভিযোগ যুক্ত করা উচিত।
লখিমপুরে আরও অস্বস্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী
আশিস মিশ্র এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। উত্তর প্রদেশে আর মাস খানেক পরেই বিধানসভা নির্বাচন। জোরকদমে প্রস্তুতি চালাচ্ছে বিজেপি শিবির। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ তদন্তকারী দলের এই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রের জন্য বিশাল সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই তাঁকে বরখাস্ত করার দাবিতে সরব হয়েছে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার জেলে ছেলের সঙ্গে দেখা করেন যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বদলাচ্ছে অভিযোগের ধারা
লখিমপুর খেরির ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আশিস মিশ্র সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের পর ধারাগুলি পরিবর্তন করা হয়েছে। সব অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই পরিকল্পিতভাবে অপরাধ করার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দল ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩৩৮, ৩০৪(এ) ধারা সরিয়ে দিয়েছে। তার পরিবর্তে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ৩২৬, ৩০২, ৩৪, ১২০ (বি), ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩/25/30 ধারা দেওয়া হয়েছে।
কী হয়েছিল লখিমপুরে
গত ৩ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্র ও উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য্যের। মন্ত্রীদের আসার পথেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষকরা। আচমকাই কনভয় থেকে একটি কালো রঙের এসইউভি গাড়ি কৃষকদের ধাক্কা মারে। এরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনায় ৪ কৃষক সহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, ওই গাড়িতে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশীষ মিশ্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তাল হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি।
এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্টও। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, “এই ধরনের ঘটনার দায় কেউই নিতে চায় না।” বিচারপতি খানউইলরের মন্তব্য, “এই ধরনের ঘটনা যখন ঘটে তখন কেউ দায় নিতে চায় না। সম্পত্তির ক্ষতি হয়, মানুষজন আহত হন, কিন্তু কেউই দায় নেয় না।” পাশ থেকে বিচারপতি রবিকুমারের সংযোজন, “মৃত্যু হয়।”
আরও পড়ুন : Congress-TMC Tussle: বিরোধীদের নিয়ে বৈঠক সোনিয়ার, ডাক পেল না মমতার দল