Drugs Racket: গাঁজা থেকে হ্যাশ-যা চাইবেন, সব মিলবে এক ক্লিকেই! বিশ্ববিদ্যালয়েই রঙিন ‘খেলা’
Police: পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রথম নয়, কয়েক মাস আগেও ওই নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে মাদক চক্রের হদিস মিলেছিল। সেই সময়ও গ্রেফতার করা হয়েছিল নয়জন মাদক পাচারকারীকে। ধৃতদের মধ্যে চারজন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিল। ওই পড়ুয়ারা মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ৩০ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার করা হয় তাঁদের কাছ থেকে।
নয়া দিল্লি: পাঁচিলের কোণ থেকে কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়া। ছোটখাটো গ্যাস চেম্বার যেন কলেজ ক্যাম্পাসগুলি। পড়ুয়াদের হাতে সিগারেট। কিন্তু তাতে কি শুধুই তামাক ভরা নাকি ভিতরে রয়েছে অন্য কিছুও? নতুন বছরের শুরুতেই বিশাল বড় মাদক চক্রের হদিস পেল পুলিশ। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েই চলছিল মাদক পাচার। কলেজে পড়তে আসা উঠতি যুবক-যুবতীরাই ক্রেতা। গাঁজা, চরস থেকে শুরু করে হ্যাসিস- সমস্ত ধরনের মাদকই কেনা-বেচা চলছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। শনিবার এমনই এক বিরাট মাদক চক্রের খোঁজ পায় পুলিশ। মাদক সহ গ্রেফতার করা হয় ৫ জনকে। এদের মধ্য়ে একজন আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া।
জানা গিয়েছে, নয়ডার একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই চলছিল মাদক পাচার চক্র। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরই মূলত নিশানা বানানো হত। পাশাপাশি দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের আরও বেশ কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সরবরাহ করা হত। শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান চালায় পুলিশ। বিপুল পরিমাণ মাদক সহ গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে।
नशीले मादक पदार्थ सप्लाई करने वाले रैकेट का पर्दाफाश, यूनिवर्सिटी के छात्र सहित 05 अभियुक्त गिरफ्तार, कब्जे से भारी मात्रा में मादक पदार्थ (अंतरराष्ट्रीय बाजार कीमत करीब 10-12 लाख रुपये), 07 मोबाइल, सप्लाई/डिलीवरी में प्रयोग की जाने वाली बाइक व स्कूटी आदि बरामद।
थाना सेक्टर-126 pic.twitter.com/y68MvOqGvK
— POLICE COMMISSIONERATE GAUTAM BUDDH NAGAR (@noidapolice) January 6, 2024
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রথম নয়, কয়েক মাস আগেও ওই নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে মাদক চক্রের হদিস মিলেছিল। সেই সময়ও গ্রেফতার করা হয়েছিল নয়জন মাদক পাচারকারীকে। ধৃতদের মধ্যে চারজন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছিল। ওই পড়ুয়ারা মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ৩০ লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার করা হয় তাঁদের কাছ থেকে।
নয়ডার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার হরিশ চন্দের জানান, নভেম্বর মাসে যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের জেরা করেই মাদক চক্রে জড়িত বাকিদের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই অনুযায়ী ফাঁদ পাতা হয়। শনিবার ওই ফাঁদেই পা দেয় ৫ জন মাদক পাচারকারী। অভিযুক্তদের জেরা করে জানা গিয়েছে, মূলত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের আশেপাশের পিজি-গুলিকেই টার্গেট করা হত। পড়ুয়াদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে মাদকের নেশায় আসক্ত করে দেওয়া হত।
জেরায় আরও জানা গিয়েছে, মাদক পাচারকারীরা শিলং থেকে গাঁজা সহ অন্যান্য মাদক আনত। এছাড়া প্রচুর সিন্থেটিক ড্রাগসও উদ্ধার করা হয়েছে। অনলাইনেই মাদকের অর্ডার দিত পড়ুয়ারা। পাচারকারী গ্যাংয়ের এক সদস্য সেই মাদক বিশ্ববিদ্যালয় ও পিজি-হস্টেলগুলিতে মাদক সরবরাহ করত।