Physically harassed: জল খেয়েই অচৈতন্য, এবার এক ট্রেনি নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ
Physically harassed: নার্স ও হাসপাতালের কর্মীরা ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। এদিন হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানান। রত্নাগিরির এসপি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুম্বই: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব বাংলা। এবার এক ট্রেনি নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা। এক অটোচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি জেলা। বছর উনিশের ওই ট্রেনি নার্স এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে পথে নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, বাড়ি ফেরার জন্য ওই ট্রেনি নার্স একটি অটোতে উঠেছিলেন। অটোচালক তাঁকে জল খেতে দেন। আর সেই জল খাওয়ার পরই অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই যুবতী। অভিযোগ, এক পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে গিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ করেন অটোচালক। জ্ঞান ফেরার পর বাড়িতে ফোন করেন ওই ট্রেনি নার্স। তাঁর বাবা-মা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নির্যাতিতা ওই যুবতী বর্তমানে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল রাতে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করার দাবি জানান। রত্নাগিরি জেলার নার্স ও হাসপাতালের কর্মীরাও ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। এদিন হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানান। রত্নাগিরির এসপি ধনঞ্জয় কুলকার্নি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত ৯ অগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে এক জুনিয়র ডাক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টজনরা। ‘রাত দখল’ করে প্রতিবাদে সামিল হন মহিলারা। দেশজুড়ে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা আটকাতে কঠোর আইন আনার দাবি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি চিঠি লিখেছেন। আবার ২ দিন আগেই মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে নারী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “নারী নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি সব রাজ্যের সরকারকে বলব, মহিলাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের ক্ষেত্রে অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। অভিযুক্ত যেই হোক না কেন, তার ছাড় পাওয়া উচিত নয়।”
শুধু আরজি কর নয়, মহারাষ্ট্রেরই বদলাপুরে এক স্কুলে দুই নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। স্কুলেরই এক পরিচারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)