AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Brahmin genes: ‘ব্রাহ্মণ’ পরিচয় নিয়ে গর্বও করা যাবে না? তীব্র বিতর্কে দ্বিধা বিভক্ত নেট দুনিয়া

Brahmin genes: ইংরেজিতে লিখেছিলেন "ব্রাহমিণ জিন", অর্থাৎ, 'ব্রাহ্মণ জিন'। সেই সঙ্গে বাইসেপ ফোলানোর ইমোজি দিয়েছিলেন তিনি। আর এই দুটি শব্দই হইচই ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ব্রাহ্মণ পরিচয় নিয়ে গর্বও করা যাবে না? নাকি গর্ব করা উচিত নয়? উঠে গিয়েছে বেশ কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন।

Brahmin genes: 'ব্রাহ্মণ' পরিচয় নিয়ে গর্বও করা যাবে না? তীব্র বিতর্কে দ্বিধা বিভক্ত নেট দুনিয়া
ব্রাহ্মণ জিন নিয়ে গর্ব করে বিতর্কে অনুরাধা তিওয়ারিImage Credit: Twitter
| Updated on: Aug 27, 2024 | 8:00 PM
Share

বেঙ্গালুরু: হাতে ডাব, কাঁধে ব্যাগ, কান লাল ফুল গোঁজা। পাশে দাঁড় করানো একটি লাল রঙের স্কুটার। গত ২২ অগস্ট, নিজের এই ছবিটির সঙ্গে দুই শব্দের একটি ক্যাপশন লিখেছিলেন বেঙ্গালুরুর এক কনটেন্ট মার্কেটিং সংস্থার সিইও, অনুরাধা তিওয়ারি। ইংরেজিতে লিখেছিলেন “ব্রাহমিণ জিন”, অর্থাৎ, ‘ব্রাহ্মণ জিন’। সেই সঙ্গে বাইসেপ ফোলানোর ইমোজি দিয়েছিলেন তিনি। আর এই দুটি শব্দই হইচই ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন উঠেছে, জাতি-ভিত্তিক সংরক্ষণ কি আদৌ প্রাসঙ্গিক? তৈরি হয়েছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা জেনারেল ক্যাটেগরির মানুষদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে বিতর্কও। দেশব্যাপী জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি জানাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, কার কত ভাগ, তা জেনে বুঝে নেওয়া হবে ভাগিদারি। এই পরিস্থিতিতে জাতি-ভিত্তিক সংরক্ষণ নিয়ে এই বিতর্ক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

নিজের ‘ব্রাহ্মণ’ পরিচয়কে সামনে টেনে এনে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অনুরাধা তিওয়ারি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একাংশ এর জন্য তাঁর সমালোচনা করেছেন। জাতি বিদ্বেষের অভিযোগ করছেন। আজাদ আকাশ নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী বলেছেন, “যে বিষয়গুলির উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই, তা নিয়ে গর্ব করা, শুধুমাত্র আপনি কতটা অক্ষম, সেটাই দেখায়।” লেখক চেতন ভগত বলেছেন, এই বিতর্কে হিন্দু ভোট ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরবে। তবে, শুধু সমালোচনা নয়, অনেকে আবার অনুরাধাকে সমর্থনও করেছে। কোনও ব্রাহ্মণ নেতা অনুরাধার পক্ষে এগিয়ে না আসায়, কেউ কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন। কেউ আবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে #ProudBrahmin প্রচার শুরু করেছেন।

এদিকে, সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন অনুরাধাও। তিনি বলেছেন, শুধু ‘ব্রাহ্মণ’ শব্দটা উল্লেখ করলেই যে অনেকে আলোড়িত হবে, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। তিনি বলেন, “প্রকৃত বর্ণবিদ্বেষী কারা, এতেই বোঝা যায়। উচ্চ বর্ণের লোকেরা সিস্টেম থেকে কিছুই পায় না – কোনও সংরক্ষণ নেই, কোনও ফ্রিবি নেই। আমরা নিজেরাই সবকিছু উপার্জন করি এবং আমাদের জাতি পরিচয় নিয়ে গর্ব করার অধিকার আছে।” তিনি আরও দাবি করেন, প্রাচীনকালে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় যে সামাজিক নিপীড়ন চালিয়েছে, তার জন্য আজও তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। অনুরাধার অবশ্য দাবি, ব্রাহ্মণরা কখনও কাউকে নিপীড়ন করেনি। তাঁর আরও অভিযোগ, “অস্তিত্বের জন্যই ব্রাহ্মণদের দোষী বোধ করানোর জন্য একটি শক্তি কাজ করছে। ব্রাহ্মণরা নিজেদের পক্ষে কথা বলতে গেলেই হঠাৎ বলা হচ্ছে হিন্দু ঐক্য নষ্ট হচ্ছে।”

অনুরাধার বিরুদ্ধে জাতি বিদ্বেষের অভিযোগ উঠলেও, অনুরাধা নিজেই জাতি প্রথার তীব্র বিরোধী। জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ বাতিল করার কট্টর সমর্থক। তিনি বরাবরই জানিয়েছেন, তিনি ‘মেধা’র সমর্থক। ২০২২-এ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অনুরাধা জানিয়েছিলেন, ব্রাহ্মণ হওয়ায় তিনি সাধারণ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর পূর্বপুরুষরা কোনও জমি রেখে যাননি। তিনি ভাড়াবাড়িতে থাকেন। পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েও তিনি ভর্তি হতে পারেননি। কিন্তু জাতি ভিত্তিক সংরক্ষণের দৌলতে, তাঁর এক সহপাঠী মাত্র ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছে। সেই সহপাঠীর কিন্তু, বাড়িতে কোনও অভাব নেই।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)