Champai Soren: ‘ব্যথা শোনার কেউ নেই…’, দুই দশকের বন্ধন ছিঁড়ে বিজেপিতে ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’
Champai Soren: মঙ্গলবার (২৭ অগস্ট), সন্ধ্যাতেই বিজেপিতে যোগ দিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চা চলছিল। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর।
রাঁচি: হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন ৩০ অগস্ট যোগ দেবেন। তবে, বিষয়টাকে অতদিন ঝুলিয়ে রাখলেন না চম্পাই সোরেন। মঙ্গলবার (২৭ অগস্ট), সন্ধ্যাতেই বিজেপিতে যোগ দিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চা চলছিল। ইডি গ্রেফতার করার পর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। সেই সময় ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’-এর উপরই ভরসা রেখেছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু, হেমন্ত জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরই, ৩ জুলাই সেই পদ ছাড়তে হয়েছিল চম্পাইকে। হেমন্ত ফের মুখ্যমন্ত্রী হন। তারপর থেকেই দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছিল চম্পাই সোরেনের। এদিন, পাকাপাকিভাবে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল।
এদিন, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন তিনি। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন. জেএমএমের এমন কোনও ফোরাম বা প্ল্যাটফর্ম নেই, যেখানে তিনি তাঁর মনের ব্যথা প্রকাশ করতে পারেন। অথচ, এই আদিবাসী নেতা সোরেন পরিবারের এক অনুগত সৈনিক ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই, চম্পাই সোরেন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তাঁকে অসম্মান করার অভিযোগ করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আরও কিছুটা সময় পেলে রাজ্যর অনেক উন্নতি করতে পারতেন। তাঁর এই মন্তব্যের পরই চম্পাইয়ের জেএমএম ত্যাগের জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই সময় অবশ্য প্রবীণ এই আদিবাসী নেতা দাবি করেছিলেন, তিনি দলেই আছেন। এরই মধ্যে দিল্লি এসেছিলেন তিনি। জল্পনা তৈরি হয়, তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। বিজেপি নেতারাও চম্পাই সোরেনের প্রশংসা শুরু করেছিলেন। জল্পনা আরও উসকে উঠেছিল। তবে চম্পাই তখন বলেছিলেন, ব্যক্তিগত কাজেই তিনি দিল্লি এসেছেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই।
এরপর তিনি বার্তা দেন, তাঁর সামনে তিনটি পথ খোলা রয়েছে – রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া, নতুন কোনও দল গঠন করা এবং নতুন কোনও সঙ্গী পেলে তার হাত ধরা। রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন না বলে জানিয়ে নতুন দল গঠনের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। তবে, সোমবার রাতে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছিলেন, চম্পাই গেরুয়া শিবিরেই আসতে চলেছেন। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করেন চম্পাই। তারপরই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।